ট্রাম্পের উপ-সহকারী হিসেবে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল ও স্ট্রাটেজিক ইনিশিয়েটিভ গ্রুপে দায়িত্ব পালন করছেন গোরকা। ব্রেইটবার্ট পত্রিকার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা সম্পাদক গোরকা বিভিন্ন সময়ে সমালোচিত হয়েছেন। ইসলামোফোবিক নীতিমালা সংক্রান্ত প্রস্তাব দিয়ে এবং লিবিয়াকে তিনটি রাষ্ট্রে পরিণত করার পরামর্শ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। গোরকা দাবি করতেন, ইসলামী ধর্মতত্ত্বের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদের মূল নিহিত। মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর ট্রাম্প আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পক্ষে বার বার সাফাই গাইতে দেখা গেছে গোরকাকে। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন নাৎসি সংশ্লিষ্ট গ্রুপ ভিটেজি রেন্ডের একটি মেডেল পরা অবস্থায় গোরকাকে দেখা যাওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরেন তিনি। তবে গোরকা বার বার দাবি করেছেন, তিনি ওই গ্রুপের সদস্য নন। মেডেলটি তার বাবার বলেও দাবি করে আসছেন গোরকা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ বলছে, তারা সম্প্রতি হাঙ্গেরি গিয়ে এ ব্যাপারে তদন্ত করেছে। গোরকার পরিবার সেখানেই থাকে। হাঙ্গেরি যাওয়ার পর ভিটেজি রেন্ডের সঙ্গে গোরকা সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া গেছে বলে দাবি করে এনবিসি। যেসব স্থানীয় গোরকাকে চেনেন তারাও বলেছেন ভিটেজি রেন্ডের সদস্য গোরকা।
তবে গোরকার দায়িত্বে অব্যাহতির সঙ্গে এ ঘটনার সংশ্রিষ্টতা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসারও সোমবার (১ মে) জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে কোনও ঘোষণা আসেনি। গোরকা এ মুহূর্তে হোয়াইট ছাড়বেন বলে বিশ্বাস করেন না বলেও জানান স্পাইসার।
/এফইউ/