সোমালিয়ার খরা মোকাবিলায় প্রয়োজন ৯০০ মিলিয়ন ডলার

nonameজাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, খরার কারণে সোমালিয়ার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে রয়েছে। চলতি বছর দেশটির ভয়াবহ খরা মোকাবিলায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এর আগে ২০১১ সালে দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছিল। এবার যেন আমরা জীবন বাঁচাতে দরকারি পদক্ষেপ নিতে আর দেরি না করি। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে সোমালিয়া বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-ও এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, খাদ্য সংকটে জর্জরিত সোমালিয়ার ৬০ লাখ মানুষকে দীর্ঘমেয়াদে সহযোগিতা দেবে যুক্তরাজ্য।

সম্মেলনে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, সোমালিয়া সরকারের উচিত দেশটিতে ২০২০ সালের নির্বাচনের পথ সুগম করা। তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা পাওয়া তাদের জন্য সহজ হবে।

noname

সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহামেদ আব্দুল্লাহি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের প্রতি রাষ্ট্রীয় ঋণ মওকুফের আবেদন জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র খরার কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে প্রায় ৬২ লাখ মানুষ খাদ্য ও পানি সংকটে রয়েছে। খরা আক্রান্ত অঞ্চলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছে। খাদ্য ও পানির সংকটে শিশুদের জন্য স্কুলে যাওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে। প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে। এর সঙ্গে আরও এক লাখ শিক্ষার্থী যুক্ত হতে যাচ্ছে। তীব্র খরায় ডায়রিয়া, কলেরা এবং হামের মতো রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন ৫৫ লাখ মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অপুষ্টিতে আক্রান্ত ৩ লাখ ৬৩ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার। ৭০ হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে এখনই ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ মহাসচিব জানিয়েছিলেন,  দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনে প্রায় দুই কোটি মানুষ অনাহারে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের দুর্ভিক্ষে সোমালিয়ায় অন্তত ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নিহত হন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির হিসাব অনুযায়ী, এদের মধ্যে অর্ধেকেরই বেশি ৫ বছরের কম বয়সী শিশু। সূত্র: গার্ডিয়ান।

/এএ/এমপি/