আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ম্যানচেস্টারের সন্দেহভাজন হামলাকারীর!

salman-abedi-1-616872

আইএসের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের সন্দেহভাজন হামলাকারীর যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে ওই হামলাকারীর নাম সালমান আবেদি কিংবা সালমান রামাদান আবেদি বলে উল্লেখ করা হয়। ইতোমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস । তবে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এ জঙ্গি সংগঠনটি সালমানের ব্যাপারে কিছু জানায়নি।

মিররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস  সদস্য রাফায়েল হোস্তি ওরফে আবু কাকা আল ব্রিটানির বন্ধু ছিল সালমান আবেদি। রাফায়েল ২০১৬ সালে ড্রোন হামলায় নিহতের আগে আইএসের সদস্য সংগ্রাহক ছিল। তারা ছিল পারিবারিক বন্ধু। হোস্তি সালমানকে জঙ্গিবাদে উৎসাহ দিয়েছে বলে ধারণা করছে সংবাদমাধ্যমটি।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে যেখানে সালমানকে বাড়িতে তৈরি বোমা নিয়ে ঢুকতে দেখা যায়। এরপর সাউথ ম্যানচেস্টারে ফ্যালোফিল্ড এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার করা বিস্ফোরক ধ্বংস করে পুলিশ। এ সময় অনেক রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সালমানের কাছে তেজস্ত্রিয় দ্রব্য ছিল।

সোমবার ট্রেনে করে লন্ডন থেকে ম্যানচেস্টারে আসে ২২ বছর বয়সী সালমান। এ সময় তিনি পরিকল্পনায় অন্য সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

তার ২৩ বছর বয়সী ভাই ইসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সালমানের ব্যাপারে পুলিশ জানলেও সে তাদের নজরদারিতে ছিল না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবীয় একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনামলে সালমানের বাবা রামাদান আবেদি ছিলেন একজন বিদ্রোহী। গাদ্দাফির রোষানল এড়াতেই পরিবারসহ দেশ ছাড়েন রামাদান। আশ্রয় নিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যে। গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যূত করার বাসনায় ২০১১ সালে তিনি আবারও লিবিয়া ফিরে যান।

সালমানের বাবা ছিলেন বিমানবন্দরের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তার মা সালমানের উগ্রবাদী মানসিকতায় উদ্বিগ্ন ছিলেন।

/এমএইচ/এসএ/