কাতারের পাশেই থাকছে তুরস্ক

তুরস্ক ও কাতারের পতাকা
কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই দোহার পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিব এরদোয়ান। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ যখন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তখন মঙ্গলবার (৬ জুন) দেশটির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৫ জুন) জঙ্গিবাদে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ। প্রথমে সৌদি আরব ও বাহরাইন এবং পরে তাদের ধারাবাহিকতায় মিসর,সংযুক্ত আরব আমিরাত,লিবিয়া এবং ইয়েমেন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ইয়েমেনে কথিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের আরব জোট থেকেও বাদ দেওয়া হয় কাতারকে। সম্পর্ক ছিন্নকারী দেশগুলো ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপও ঘোষণা করে

এমন উত্তেজনাপূর্ণ প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার এরদোয়ান জানান, তিনি কাতারের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী।  কাতারের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে সমর্থন দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য হলে নিজেই ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ করবেন বলেও জানান এরদোয়ান। আঙ্কারায় দেওয়া এক ভাষণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কাতারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাকে আমরা ভালো বলে মনে করি না। কাতারের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক বজায় থাকবে এবং ভবিষ্যতে সে সম্পর্ক আরও ভালো হবে। আমাদের কঠিনতম সময়ে পাশে থাকা সব বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় থাকবে।’

কাতারের সঙ্গে তুরস্কের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সৌদি আরবসহ অন্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গেও তুরস্কের সম্পর্ক বেশ ভালো। এরদোয়ান চান জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর আলোচনার মাধ্যমে চলমান সমস্যার নিরসন হোক। তিনি বলেন, ‘কাতারকে একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না’।

এদিকে চলমান সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করার জন্য মঙ্গলবার সৌদি আরব সফর করেন কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে আলোচনার পর ওইদিনই দেশে ফেরেন তিনি। তবে ওই আলোচনার ব্যাপারে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।  

/এফইউ