ইরানে চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা

ইরানের পার্লামেন্টে অভিযানের ছবি
ইরানের পার্লামেন্ট ও আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারে হামলাকে দেশটির গত চার দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ১৯৮০ এর দশক থেকে দেশটিতে বড় ধরনের সংঘাত দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের শুরুর দিকের কয়েকটি বছর দেশটিতে বিশৃঙ্খলা থাকলেও পরবর্তী বছরগুলোতে অপেক্ষাকৃত অনেক স্থিতিশীল ও নিরাপদ দেশ বলে বিবেচিত হয়ে আসছে ইরান। প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ একটি দেশে বাস করছেন বলে এতোদিন ভাবতেন ইরানিরাও। আর তাই আচমকা এ ভয়াবহ হামলায় হতবাক তারাও।

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময় মুজাহিদীন খালেক অর্গানাইজেশন (এমইকে) নামের বিরোধী গোষ্ঠী ইরানের ভেতরে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছিল। আর সেই অস্থিরতা কিছুদিন বজায় ছিল। তবে ১৯৮০ এর দশক থেকে ইরানকে তেমন কোনও বড় সংঘাতের মুখোমুখি হতে হয়নি।

ইরানে হামলার নেপথ্যে আসলে কারা সেই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। এরইমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের পক্ষ থেকে ইরান হামলার দায় স্বীকার করা হলেও এ দাবি সত্যি কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইএসের দাবি যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে তা হবে ইরানে জঙ্গি সংগঠনটির চালানো প্রথম হামলা।

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ইরানের রাজধানী তেহরানের দুটি এলাকায় হামলা চালায় অজ্ঞাতরা। প্রথম হামলাটি হয় ইরানের পার্লামেন্ট মজলিশে। সেসময় মজলিশে অধিবেশন চলছিল। পার্লামেন্ট সদস্য ইলিয়াস হযরতিকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়,একটি পিস্তল ও দুটি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে দুর্বৃত্তরা পার্লামেন্টে হামলা চালায়। নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে তারা। পার্লামেন্টে হামলার আধ ঘণ্টা পর আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারেও কয়েকজন বন্দুকধারী হামলা চালায়। সেসময় একটি আত্মঘাতী হামলাও চালানো হলে কয়েকজন আহত হয়। পার্লামেন্টে হামলার ঘটনায় সবশেষ ১২ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে চার হামলাকারীও নিহত হয় বলে দাবি করা হয়েছে।  তবে হামলাকারীসহ নিহতের সংখ্যা ১২ নাকি আরও বেশি তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

/এফইউ/