কাতার বয়কটের বিরোধিতা করায় বাহরাইনের আইনজীবী গ্রেফতার

বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল-খলিফাকাতারের বিরুদ্ধে বয়কট ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করায় বাহরাইনের প্রখ্যাত মানবাধিকার আইনজীবী ইসা ফারাজ আরহামা আল-বুরশাইদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দাবি, কাতার বয়কটের সমর্থন দেশটির সংবিধানের পরিপন্থি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

কাতারকে বয়কট করা ছাড়াও বাহরাইনে অবস্থান করা কাতারিদের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সে দেশের সরকার। আর এসব নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে বুরশাইদ বাহরাইনের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালতে মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি কাতারের প্রতি বাহরাইনের ওই পদক্ষেপকে ‘একপেশে’ বলে উল্লেখ করেন।

বুরশাইদ বলেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বাহরাইনিদের পারিবারিক বন্ধন ভেঙে পড়েছে এবং তা বাহরাইনি পরিবারের প্রতি এক ভীষণ আঘাত। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার এ সিদ্ধান্ত বাহরাইনের সংবিধান ও আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

গত বৃহস্পতিবার বাহরাইন সরকার ঘোষণা করে যে, যদি কেউ কাতারের প্রতি সহানুভূতি দেখান, তাহলে এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড হতে পারে। একইভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতও এমন আইন জারি করেছে।

বাহরাইনের দুর্নীতিবিরোধী এবং আর্থিক ও ইলেকট্রনিক নিরাপত্তা সংস্থা সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘সামাজিক ও জাতীয় ঐক্য বিঘ্নিত করার অপরাধে বুরশাইদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের নেতৃত্বে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর, ইয়েমেন, লিবিয়া ও মালদ্বীপ। পরে এতে যোগ দেয় মৌরিতানিয়া এবং সেনেগাল। জর্দান ও জিবুতি কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত রেখেছে কাতারের সঙ্গে।

আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও বাহরাইন তাদের জল, স্থল এবং আকাশ সীমাও বন্ধ করে রেখেছে কাতারের সঙ্গে। আর এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে গালফ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

/এসএ/