ব্রেক্সিট প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোট চান অধিকাংশ ব্রিটিশ

ব্রেক্সিট (প্রতীকী ছবি)
যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরিয়ে আনা অর্থাৎ ব্রেক্সিট প্রশ্নে ব্রিটিশদের মধ্যে ক্রমাগত বিরোধিতা বাড়ছে। অধিকাংশ ব্রিটিশ জনগণ এখন চান ব্রেক্সিট ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোট হোক। যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনমত জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সারভেশনের এক জরিপে এমন আভাস দেওয়া হয়েছে।

জরিপে বলা হয়, চূড়ান্ত ব্রেক্সিট চুক্তির শর্তগুলো গ্রহণ করা হবে কি হবে না সেই প্রশ্নে ভোটগ্রহণকে সমর্থন করেন ৫৩ শতাংশ মানুষ। আর ৪৭ শতাংশ মানুষ এর বিরোধিতা করেন। এপ্রিলে একই প্রশ্নে জরিপ চালানো হয়েছিল। তখন ৫৪ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় গণভোটের বিরোধিতা করেছিলেন।

মেইল অন সানডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইইউর সঙ্গে আলোচনায় থেরেসা মে যে নীতি নিয়েছেন অর্থাৎ ‘খারাপ চুক্তির চেয়ে কোনও চুক্তি না করাই ভালো’ নীতির প্রতি সমর্থন রয়েছে ৩৫ শতাংশ মানুষের। ইইউর কাস্মস ইউনিয়ন থেকে বিটেনের বের হয়ে আসার পক্ষে নন ৬৯ শতাংশ মানুষ।

ব্রেক্সিট প্রশ্নে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র মন্ত্রিসভায় অস্থিরতা জোরালো হচ্ছে বলে গুঞ্জন ওঠার পর এ জরিপটির ফলাফল প্রকাশ করা হলো। শোনা যাচ্ছে, অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড থেরেসা মে’র সঙ্গে একমত নন। তিনি নমনীয় ব্রেক্সিটের পক্ষে। হ্যামন্ড চান, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাস্টমস ইউনিয়নের সঙ্গে থাকুক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাস্টমস ইউনিয়নের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য করতে পারেন, কিন্তু তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারেন না।

গত জানুয়ারিতে কঠোর ব্রেক্সিট ভিশনের রূপরেখা প্রকাশ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তিনি চান ব্রিটেন নিজস্ব বাণিজ্য চুক্তি করতে সক্ষম হোক।

এদিকে ইউগভের জরিপে দেখা গেছে, লেবার ভোটাররা অপেক্ষাকৃত নমনীয় ব্রেক্সিট চুক্তি চান। লেবার সমর্থকদের ৩৫ শতাংশ সমর্থক বলছেন, ইইউ ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই তাদেরকে সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল। ৪৭ শতাংশ লেবার সমর্থক বলেছেন, তারা নমনীয় ব্রেক্সিট চান। আর শতাংশ বলেছেন, তারা কঠোর ব্রেক্সিটের পক্ষে। তবে ২৭ শতাংশ লেবার একেবারেই ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের পক্ষে নন।

/এফইউ/