ঐতিহাসিক ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে আসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শর্তাবলীর মীমাংসায় ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে সোমবার (১৯ জুন) থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এ আলোচনা হচ্ছে। এতে ব্রিটেনের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস।  

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের পতাকা
সোমবার সকালে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনার শুরুতে ডেভিড বলেন, ‘এ আলোচনায় আমি আবারও বলতে চাই যে যুক্তরাজ্য ইউরোপ মহাদেশজুড়ে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার ও সহযোগী হয়ে থাকবে। যদিও আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে, তারপরও আমাদের গন্তব্য পরিষ্কার-যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে গভীর ও বিশেষ অংশীদারত্ব গড়ে তোলা। এটি এমন এক চুক্তি হবে যার নজির ইতিহাসে নেই।’

২০১৯ সালের মার্চের শেষ নাগাদ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পুরোপুরি আলাদা হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রেক্সিট আলোচনায় যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তাহল-অভিবাসীদের হাল, ইইউ থেকে আলাদা হওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের কথিত ডিভোর্স বিল এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও আইরিশ সীমান্ত খোলা রাখার প্রশ্ন।

ডেভিড ডেভিস ইইউ’র প্রধান আলোচক এবং সাবেক ফরাসি মন্ত্রী ও ইইউ কমিশনার মাইকেল বারনিয়ারের সঙ্গে ব্রেক্সিট প্রশ্নে কথা বলছেন। ডেভিড বলেন, ‘আজ এমন এক আলোচনার শুরু হলো যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও আমাদের জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।’

বিভিন্ন রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, আলোচনার রূপরেখাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি মেনে ঠিক করা হয়েছে। ইইউ চায় আগে ব্রেক্সিট প্রশ্নে আলোচনা করতে। কোনও সময়ে যুক্তরাজ্যের চাহিদা মাফিক বাণিজ্যিক চুক্তিসহ দুই পক্ষের ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়ে পরে আলোচনা করতে চায় জোটটি।

যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর এক্সিটিং দ্য ইইউ (ডেক্সইউ) এর মুখপাত্র বলেন, ‘ইইউ মনে করে সবকিছু নিয়ে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত তাকে সমঝোতা বলা যায় না। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যত সম্পর্কের বিষয়টিকে বিবেচনায় না নিয়ে জোট থেকে সরে আসার প্রক্রিয়া শেষ করা যায় না।’

/এফইউ/