ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার রাজপুত্র হ্যারি

সম্প্রতি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারি।  সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সিংহাসনে কোনও ধরনের আগ্রহ নেই তার।
প্রিন্স হ্যারি

নিউজ উইককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায়  বিদ্রোহী রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়না এবং স্বামী চার্লস-এর দ্বিতীয় পুত্র হ্যারিকে। ‘রাজপরিবারের কেউ কি আছে যে রাজা বা রানী হতে চায়? আমার মনে হয় না’ সাক্ষাৎকারে বলেন হ্যারি।  

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে যে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র জারি আছে, শাসনক্ষমতায় তার তেমন কোনও ভূমিকা নাই। তবে ব্রিটিশ জনগণের প্রচুর অর্থ ওই রাজতন্ত্র রক্ষায় ব্যয় হয়। ব্রিটেনের রানির অঢেল ধনসম্পদের উৎস সাধারণ ব্রিটিশ জনতার দেওয়া কর। জনগণের করের অর্থে একুশ শতকে এসে রাজতন্ত্র বজায় রাখার কোনও কারণ দেখেন না অনেকেই। অনেকেই আবার ঐতিহ্য আকারে দেখেন একে। হ্যারি বলছেন,  দায়িত্ব পালন করছেন বাধ্য হয়ে। রাজপরিবারের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের কথা ভেবে।’ বলেন হ্যারি।

নিউজ ইউককে হ্যারি মার্কিন ওই ম্যাগাজিনকে জানিয়েছেন ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের আধুনিকীকরণে তিনি কাজ করছেন। বলেছেন ‘বিষয়টা অনেক জটিল। কৌশলগতভাবে ভারসাম্য বজায় রাখাটা আসলেই কষ্টকর।’’
মা ডায়নার সঙ্গে হ্যারি

বিদ্রোহী রাজবধূ ডায়নার গর্ভে জন্ম নেওয়া হ্যারি রাজপ্রথার বাইরে এসে মানুষের সঙ্গে মিশেছেন নিবিড়ভাবে। ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি স্পষ্ট করতে নিউজ উইককে তিনি বলেছেন, ‘নিজের কেনাকাটা আমি নিজেই করি। আমার শঙ্কাও থাকে। কেউ যদি চিনে ফেলে আমাকে। তবে আমার সন্তানদের ক্ষেত্রেও আমি চাইব, সাধারণ মানুষের মতোই হবে তাদের জীবনযাপন। 

প্রিন্স হ্যারি ২০০৬ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষে ১০ বছর কাজ করেছেন। নানান ধারার সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত তিনি। তিনি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রচলিত আভিজাত্য ভেঙে বারবার সাধারণ মানুষের কাছে এসেছেন। প্রেমিক হিসেবেও তিনি সংবাদমাধ্যমে বারবার শিরোনাম হয়েছেন।

/বিএ/