এরইমধ্যে ইয়েমেনে দুই লাখের বেশি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের অর্ধেকই শিশু। পানিবাহিত রোগ কলেরা সহজে নিরাময়যোগ্য। তবে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে এটা প্রাণঘাতী রূপ ধারণ করে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে সবার জন্য চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে ২০১৫ সালে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি জোট। গত দুই বছরে সৌদি জোটের উপর্যুপরি বিমান হামলা তথা সামরিক অভিযানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ইয়েমেনের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ মানুষ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিদ্যমান খাদ্য সংকট চলতি বছরই দুর্ভিক্ষে রূপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতেই মরার ওপর খড়ার ঘা-এর মতো দেশটিতে নেমে এসেছে কলেরার তাণ্ডব।
/এমপি/