এক মানবিক ঈদযাত্রা

Raya and Me 03যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি)-র হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওমর। চলতি বছর বাংলাদেশে সংস্থাটির মানবিক সহায়তা বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন তিনি।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় মোরা। ঝড় ছলে গেলেও রেখে যায় এর ক্ষত। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসে ডিএফআইডি। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, চাকরির সুবাদে কয়েক বছরের এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ঈদ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন ওমর।

ডিএফআইডি-তে চাকরির সুবাদে এর আগের তিন ঈদুল ফিতর তিনি কাটিয়েছেন কেনিয়া, পাকিস্তান ও সাউথ সুদানে। সিরিয়ায় মানবিক সাহায্য পাঠানোর মতো বিষয় নিয়েও কাজ করেছেন তিনি।

ওমর বলেন, পেশাদার মানবিক সহায়তাকর্মী হিসেবে আমার ভূমিকা কঠিন হতে পারে, সংঘাত বা দুর্যোগপীড়িত অঞ্চলে কাজ করা সব সময়েই চ্যালেঞ্জিং, এমনকি আমার নিত্যকার কর্মস্থলও বিপজ্জনক হতে পারে। সে যাই হোক আমি এটাকে একটি পেশার চেয়েও বেশি কিছু মনে করি। মানুষজনের প্রচুর সাহায্য প্রয়োজন। যাদের আসলেই সাহায্যের দরকার তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।

somewhere in South Sudan

তিনি বলেন, ঈদের সময়টা হচ্ছে পরিবারের জন্য। তবে মাঝেমধ্যে এটা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। আমি পরিবার থেকে দূরে ছিলাম। তাদের, বিশেষ করে আমার কন্যাকে অনেক মিস করেছি। কিন্তু যখনই আমি দুর্যোগ কবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছি; তখন মনে হয়েছে আমি কতটা ভাগ্যবান!

ওমর বলেন, কর্মজীবনে এর আগে দাতব্য সংস্থা কেয়ার-এ কাজ করেছেন ওমর। ওই সময় কেনিয়ার দাবাবের একটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন ওমর। তার ভাষায়, শরণার্থীদের অবস্থা দেখে প্রথমেই আমি খুব মর্মাহত হয়েছি। স্বীকৃতিবিহীন এক জীবন তাদের। খাওয়ার জন্য শিশুদের ময়লা তুলে নিতে দেখেছি। মানুষের এমন দুর্দশা দেখলে আপনি নিজ থেকেই তাদের সাহায্য করতে চাইবেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমি ডিএফআইডি-তে কাজ করছি। আমি মানুষের জন্য সাহায্যের হাত অবারিত রেখেছি। আমি ঈদের জন্য অপেক্ষা করছি। বহু বছর পর এবার সবার সঙ্গে ঈদ করবো। এ সময়ে কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার, সেটারও একটি তালিকা আমি তৈরি করে ফেলেছি। সবাইকে ঈদ মুবারাক।

/এমপি/