লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পরিদর্শক এডউইন হল বলেন, তাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। প্রতীয়মান হচ্ছে, আগে থেকেই তার শারীরিক অসুস্থতা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তিনি ঊর্ধ্বশ্বাস নিচ্ছিলেন এবং তার চোখ অর্ধেক খোলা ছিল। সে সময় সেখানে উপস্থিত অধিকাংশ মুসল্লিই মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত ছিলেন। ফলে সেখানে মুসলমানদের খুব সহজেই আলাদা করে চিহ্নিত করা গেছে।
মকরম আলীর পোস্ট মর্টেমের ভিত্তিতে এডউইন হল বলেন, আমাদের প্রাথমিক মূল্যায়ন হচ্ছে, ভ্যানের আঘাতের পরও তিনি জীবিত ছিলেন। বেশকিছু আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে মকরম আলীর।
মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের একজন মুখপাত্র বলেন, হামলার খবর পাওয়ার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ১টা ৪ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিহত মকররম আলী ফিন্সবারী পার্ক এলাকার বাসিন্দা। অন্যান্য দিনের মতো ইফতার সেরে তারাবির নামাজ আদায় করতে তিনি মসজিদে যান। নামাজ শেষে মসজিদে থেকে বের হয়ে তিনি যখন হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন, তখন ঘাতক ভ্যানটির চাপায় আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সোমবার (১৯ জুন) সকালে তিনি মারা যান।
ফিন্সবারী পার্ক মসজিদ এলাকায় ওই ঘটনার পর মুসল্লিরা হামলাকারীর ওপর চড়াও হতে চাইলেও তাদের নিবৃত্ত করেন মসজিদের ইমাম। পরে ঘটনাস্থলে নামাজে দাঁড়ান মুসল্লিরা।
১০ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে গিয়ে স্থায়ী হন মকরম আলী। তিনি চার কন্যা ও দুই পুত্রের জনক। ফিনসবুরি পার্ক মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি মকরম আলী নাতিকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় পার্কে ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করতেন। স্বজনরা জানিয়েছেন, পারিবারিক অবকাশে কানাডায় ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তার।
ব্রিটিশ বাংলাদেশি মকররম আলীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের সরুয়লায় গ্রামে।
/এমপি/