কাতারের সঙ্গে আমরা ভালো সম্পর্ক বজায় রাখব: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কাতারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং দেশটিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি বহাল থাকবে। বুধবার সিবিএন নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে কাতার প্রশ্নে এমন অবস্থানের কথা জানান ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকাতারের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকেই মার্কিন প্রশাসন আর ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানে পার্থক্য ধরা পড়ে। ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞায় নিজের কৃতিত্ব দাবি করলেও পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে একে মানবিকতার বিরোধী বলে মত দেওয়া হয়। দোহার সঙ্গে সৌদি জোটের সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিরসন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ট্রাম্প উপসাগরীয় দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেও সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ইঙ্গিত দিয়েছে ট্রাম্পের অবস্থান সৌদি জোটের পক্ষে।
এক পর্যায়ে কাতারের সঙ্গে অস্ত্রবিক্রির চুক্তিও সম্পন্ন হয় যুক্তরাষ্ট্রের। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সম্প্রতি দাবি করেছে,প্রকৃতপক্ষে  মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান সৌদি জোটের পক্ষে।

তবে বুধবার সিবিএন নিউজকে ট্রাম্প বলেন ‘আমরা কাতারের সঙ্গে ভালো একটি সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছি এবং দেশটিতে সামরিক ঘাঁটি বহাল রাখতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।’

কাতারে আল-উদিদ বিমানঘাঁটিতে ১০ হাজার মার্কিন সেনা নিয়োজিত রয়েছে। এ ঘাঁটির ব্যাপারে ট্রাম্প বলেন, “আমরা যদি ঘাঁটিটি ছেড়ে যেতে চাইতাম তবে আরেকটি ঘাঁটি নির্মাণে জায়গা দেওয়ার জন্য ১০ দেশ আগ্রহ প্রকাশ করতো। এবং এর জন্য তারা অর্থও পরিশোধ করতো।”

জঙ্গিবাদে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসরসহ কয়েকটি দেশ। এ অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে তা নাকচ করে দেয় দোহা। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দুই সপ্তাহ পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়াসহ কাতারকে ১৩ দফা শর্ত বেঁধে দেয় চার দেশ। শর্ত পূরণে ১০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়। সে সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ২ জুলাই রবিবার সেই সময়সীমা দুই দিন বাড়ানোর কথা জানায় সৌদি সূত্র। সেই সময়সীমাও শেষ হওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

/এফইউ/