বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যায় মার্কিন নাগরিকের ২৩ বছরের কারাদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এক মার্কিন নাগরিককে ২৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) নিউ ইয়র্কের একটি ডিস্ট্রিক্ট আদালতে ৩২ বছর বয়সী মার্কিনি ডেভিড লুইমের বিরুদ্ধে এ রায় দেওয়া হয়েছে।

নিহত ইশতিয়াক কাদির
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশি অভিবাসী ইশতিয়াক কাদিরকে (৫১) হত্যার শিকার হন। এ ঘটনায় নিউ ইয়র্কের কুইন্সের জ্যামাইকার বাসিন্দা ডেভিড লুইমকে গ্রেফতার করা হয়। কুইন্সের সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি গ্রেগরি এল. লাসাকের অধীনে ১০ দিনের জুরি ট্রায়ালে থাকার পর গত মে মাসে তাকে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার (পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই মুহূর্তের ইচ্ছাবশত খুন) এর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আর মঙ্গলবার ডেভিড লুইমের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেন বিচারপতি।

কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড এ. ব্রাউন বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড এ.ব্রাউন বলেন, “এটি একটি নির্বিচারি নৃশংস কর্মকাণ্ড। হামলার শিকার ব্যক্তি মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। আসামি তাকে যখন বার বার ঘুষি ও লাথি দিচ্ছিল তখন তিনি অসহায় ছিলেন।”     

হিলসাইড ইন
সাক্ষীর জবানবন্দিতে বলা হয়, ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি অভিবাসী ইশতিয়াক কাদির হিলসাইড ইনে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। এদিন রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ডেভিড লুইম তার ওপর হামলা করেন। কাদির তখন মেঝেতে পড়ে যান, তার মাথায় আগাত লাগে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তারপরও কাদিরকে অনবরত লাথি দিয়ে যেতে থাকে ডেভিড। মস্তিষ্কে আঘাতগ্রস্ত অবস্থায় কাদিরকে স্থানীয় কুইন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চালানো হয়। মস্তিষ্কের ওই আঘাত স্থায়ীভাবে ব্রেন ড্যামেজে রূপ নেওয়ার পর কাদিরকে একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। তিনি তখন কথা বলতে পারতেন না এবং তাকে ফিডিং টিউব দিয়ে খাবার দিতে হতো। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালের মে মাসে মৃত্যুর কাছে হার মানেন কাদির।

/এফইউ/