শেষ পর্যন্ত ইইউ’র সন্ত্রাসী তালিকাতেই থাকছে হামাস

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিয়ে কোর্ট অব জাস্টিস রায় দিতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এমন আভাস দিয়ে বলেছিল, ইইউ’র এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত সে আভাস সত্যি হয়নি। বুধবার (২৬ জুলাই) হামাসকে সন্ত্রাসী তালিকায় রাখার ব্যাপারে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্তটিকেই বহাল রেখেছে কোর্ট অব জাস্টিস। অবশ্য, শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগারদেরকে এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

হামাস সদস্য
২০০১ সালের শেষের দিকে হামাসকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে হামাসকে ইইউ’র সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত বলে রায় দেয় ২৮ সদস্যের জোটের সাংবিধানিক আদালত তথা জেনারেল কোর্ট। কারণ হিসেবে আদালতের রায়ে বলা হয়, হামাসকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকাভুক্ত করতে কোনও স্বাধীন তদন্ত হয়নি; বরং ইন্টারনেট ও সংবাদমাধ্যমের তথ্যের উপর নির্ভর করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় কাউন্সিলের দাবি, জেনারেল কোর্ট ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। তারা শুধু পাবলিক ডোমেইনের উপর নির্ভর করেনি।

পরে এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোর্ট অব জাস্টিসে আপিল করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের আইনজীবী জেনারেল ইলিয়েনর শার্পস্টন বলেন, হামাসকে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘ইইউ শুধুমাত্র ইন্টারনেট ও সংবাদমাধ্যমের তথ্যের উপর নির্ভর করে এই তালিকা তৈরি করতে পারে না।’

ইসিজের অ্যাডেভোকেট জেনারেলরা প্রায়ই রায় দেওয়ার আগে আদালতকে ভালোভাবে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে বলে। কিন্তু সবসময় সেটা মেনে চলা হয় না। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) কোর্ট অব জাস্টিস জেনারেল কোর্টের আদেশকে বাতিল করে দিয়ে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সিদ্ধান্তটি বহাল রেখেছে। অর্থাৎ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্ত্রাসী তালিকাতেই থাকছে হামাস।  

/এমএইচ/এফইউ/