সৌদি শহর কাতিফ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন শিয়ারা

 

কাতিফ শহরে বন্দুকধারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনার খবর দিয়েছে সৌদি নিরাপত্তা সূত্র। তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ওই অভিযানের কারণে ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন শত শত বেসামরিক মানুষ।অভিযোগ উঠেছে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কথা বলা হলেও সেখানকার বেসামরিক শিয়া জনগোষ্ঠীকেও আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। 

13940304000716_PhotoI

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় এক শহর কাতিফ। শহরটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী শিয়া সম্প্রদায়ের।স্থানীয় শিয়া জনগোষ্ঠীর অভিযোগ, তারা সরকারের বৈষম্যের শিকার। তবে শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

২০১১ সালে আরব বসন্তের কাল থেকেই কাতিফে সংঘাত চলছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে সরকারি বাহিনী সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। শিয়া বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পুলিশসহ অন্তত সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতিফের আওয়ামিয়া অঞ্চলে কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ তীব্রতর হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, প্রায়ই তাদের বাড়িতে পানি ও বিদ্যুৎ থাকতো না। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠে যেত। স্থানীয় আন্দোলনকারীরাদাবি করে, ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করতে সেখানকার শিয়া পরিবারগুলোর বাড়ির সামনে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়া হচ্ছে। সরকারি বাহিনীর ভূমিকারকারণেই স্থানীয়রা পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি তাদের।

আল জাজিরা জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া শিয়া পরিবারগুলোর একাংশ নিকটবর্তী শহরে অস্থায়ী আশ্রয় নিয়েছে।বাস্তুহারা এসব পরিবারের আকুতি উঠে এসেছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। তাদের জন্য দুয়ার খুলে নিকটবর্তী শহরের দিয়েছেন অনেকে।

শিয়াদের ওপর দমন অভিযান পরিচালনার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সৌদি বাহিনী। তাদের দাবি, অনেক বাড়ি ও দোকান যে ধ্বংস হয়ে গেছে, তার কারণ বন্দুকধারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-হায়াতের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পূর্বাঞ্চলীয়ওই প্রদেশের যে বাসিন্দারা পালাতে বাধ্য হয়েছেন,তাদেরকে স্থানীয় কার্যালয়ে অস্থায়ী আবাসের জন্য আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেকর্তৃপক্ষ । কাতিফেরে গভর্নর ফালাহ আল খালিদি জানিয়েছেন, দাম্মাম শহরে অনেক অ্যাপার্টামেন্টের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। সেখানে অস্থায়ীভাবে থাকতে পারবে কাতিফের ঘর ছেড়ে আসা বাসিন্দারা।’

এমএইচ/বিএ/