নিহত ৪০০ জনের ৩০০ জন গণকবরে

জীবিতদের উদ্ধারে 'সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ' করছে সিয়েরা লিওন

সিয়েরা লিওনে বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ হারানো ৩০০ জন শায়িত হলেন গণকবরে। রাজধানী ফ্রিটাউনে বন্যার কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে নিহত হয়েছেন ৪০০ জন। ৬০০ জন এখনও নিখোঁজ। তাদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তলিয়ে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। ৩০০০ মানুষ ঘরহারা হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে 'মানবিক জরুরি অবস্থা'। বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জীবিতদের উদ্ধারে সময়ের সঙ্গে যুদ্ধের খবর পাওয়া যায়।

93853ac6587d41288ca435862db7d89e_18

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে  রাজধানী ফ্রিটাউন। আফ্রিকার চেনাজানা ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। মরদেহগুলো পড়ে আছে উন্মুক্ত স্থানে।  যেকোনও সময় কলেরার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন ত্রাণকর্মীরা। নিখোঁজ ৬০০ জনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রেডক্রস এই পরিস্থিতিকে জীবিতদের খুঁজে পেতে সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছে। ডিগারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

সিয়েরা লিয়নে সন্তান হারানো এক মায়ের আহাজারি

প্রবল বর্ষণ আর ভূমিধসে পশ্চিম আফ্রিকার বিপন্ন দেশ সিয়েরা লিওন গত ক'দিনে রূপান্তরিত হয়েছে এক অচেনা মৃত্যুপুরীতে।  কাদামাটিতে ঢেকে গেছে রাজধানী ফ্রিটাউনের কাছের এক অঞ্চল। তলিয়ে গেছে অধিকাংশ বাড়িঘর। কাদামাটির স্রোতে ভেসে বেড়াচ্ছে মানুষের মরদেহ। চারপাশ জুড়ে কেবল মৃত্যুর গন্ধ। মঙ্গলবার রেড ক্রসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের হাতে সময় খুব কম। লাশঘরেও পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এজন্য গণকবরেরও চিন্তা করা হচ্ছে। প্রধান করোনার সেনেহ ডামবুইয়া বলেন, ‘আমরা ৪০০ মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে ৫০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে আমাদের ধারণা।’

সিয়েরা লিয়নে কেবল মৃত্যুর গন্ধ এখন

লাশঘরে ডাক পেয়েছিলেন নিহতদের স্বজন। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে সবাইকে দাফন করা হবে। বুধবার এক বিবৃতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই কোরোমা আত্মীয়দের লাশঘরে আসতে বলেন।জানান, পরিচয় শনাক্ত করতে ব্যর্থ হলেও সেই মরদেহগুলোও সম্মানের সঙ্গে দাফন করা হবে।  কর্তৃপক্ষ এই মরদেহগুলোকে ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখার অনুরোধ জানিয়েছে। ক্যাথলিক রিলিফ সার্ভিসের ত্রাণ সমন্বয়ক ইদালিয়া আমায়া বলেন, এই লাশঘরে প্রচুর মরদেহ জমা হয়েছে। আর এখন এটা স্বাস্থ্যগত ইস্যু হয়ে দাঁড়িযেছে। খুব তাড়াতাড়ি এই মরদেহগুলো সরাতে হবে।

মর্গের প্রধান ওউজ কোরোমা বলেন, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। খুব তাড়াতাড়িই আমাদের ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দাফন করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাকিদের দাফন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সরকারের মুখপাত্র কর্নেলিস দোভো।

/বিএ/