সিয়েরা লিওনে ধেয়ে আসছে কলেরা-ম্যালেরিয়া-চর্মরোগ, ভূমিধসে নিহত ৪৬৭

বন্যা ও ভূমিধসে আফ্রিকার অত্যন্ত দরীদ্র দেশ সিয়েরা লিওনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬৭। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর থবরে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ৬ শতাধিক মানুষ। দেখা দিয়েছে কলেরা-ম্যালেরিয়া আর নানা ধরনের চর্মরোগ। এইসব রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিয়েরা লিয়নে মানবিক বিপর্যয়

একদিকে গৃহযুদ্ধ, অন্যদিকে কলেরা এই বাস্তবতায় ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধসের কবলে পড়ে সিয়েরা লিওন। প্রচণ্ড বর্ষণে রাজধানী ফ্রিটাউন থেকে প্রায় ৫ মাইল দূরে সুগার লোফ নামের একটি পাহাড়ে ধস দেখা দেয়। আলজাজিরার বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী ফ্রিটাউন।

নিখোঁজ ৬০০ জনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রেডক্রস এই পরিস্থিতিকে জীবিতদের খুঁজে পেতে সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ বলে অভিহিত করেন। সেই যুদ্ধে ক্রমশ সম্ভাবনা হারাচ্ছে মানবিকতা। সিএনএন-এর শুক্রবারের খবরে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তারা এমনকী পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় কোনও মরদেহ পাওয়ার আশঙ্কাও ছেড়ে দিয়েছেন।

আফ্রিকার চেনাজানা ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। মরদেহগুলো দাফনের আগে অনেকটা সময় পড়েছিল উন্মুক্ত স্থানে।  যেকোনও সময় কলেরা-ম্যালেরিয়ার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন ত্রাণকর্মীরা। এরইমধ্যে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগের কবলে পড়েছেন দেশবাসী। এ অবস্থায় সেখানে ৭ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

দেশটির উপ স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী মদিনা রহমান বলেছেন, ভয়াবহ আকারে দেখা দিয়েছে কলেরা ও ম্যালেরিয়া। আফ্রিকার ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়। নাগরিকদের অনেকের দেখা দিয়েছে গায়ে ক্ষত বা ইনফেকশন। কলেরা প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি থাকলেও তারা হিমশিম খাচ্ছে। মদিনা রহমান আরও বলেছেন, ‘আমরা সীমিতভাবে প্রস্তুত। এ দুর্যোগ আমরা একা মোকাবিলা করতে পারবো না।’

/বিএ/