ম্যার্কেলের বিজয় ‍উদযাপন করছে সিরীয় শরণার্থীরা

অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল টানা চতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন দেশটিতে থাকা শরণার্থীরা। তবে সংসদে ডানপন্থীদের উত্থানেও কিছুটা শঙ্কিত তারা। সোমবার মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণের ব্রিটিশ সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

germany-migrants_arrival-ap759

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদে ম্যার্কেলের কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ১৯৪৯ সালের পর প্রথমবারের মতো ডানপন্থীরা সংসদের আসন জয় করেছে। সংসদে তারা এখন তৃতীয় বৃহত্তম দল।

অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) নামে দলটি জার্মানিতে ১৩ লাখ শরণার্থী প্রবেশের ক্ষেত্রে ম্যার্কেলের অনুমতির ক্ষেত্রে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলো। সংসদের তাদের উপস্থিতিতে কিছুটা শঙ্কিত শরণার্থীরা। তাদের আশঙ্কা আগের মতো উদার থাকা সম্ভব হবে না হয়তো ম্যার্কেলের।

ফাতিমা আল হায়দার নামে এক শরণার্থী বলেন, ‘আমরা প্রার্থনা করেছি যেন ম্যার্কেল জেতেন। আল্লাহ আমাদের প্রার্থনায় ষাড় দিয়েছেন। ম্যার্কেল আমাদের কাছে মানবতার প্রতীক।’

দার স্বামী আয়মান বলেন, ‘ম্যার্কেল আমাদের সাহায্য করতে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। আমরা জার্মান শিখে দেশটির উন্নয়নে সহায়তা করতে চাই। আমরা কাজ করে প্রমাণ করতে চাই তার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো, তার প্রতিপক্ষরা ছিলো ভুল।’

ফাতিমা ও আয়মান তাদের ১৪ বছর বয়সী ছেলে জায়েদের কাছেই প্রথম ম্যার্কেলের জয়ের খবর শুনতে পান। রাউলা মোহাম্মাদ নামে এক শরণার্থী বলেন, ‘আমরা যখন ম্যার্কেলের জয়ের কথা জানলাম, মনে হলো যেন বিয়ের আনন্দে নেচে উঠি।’

সংসদে এএফডির উপস্থিতিতে শরণার্থীদের উপর কড়াকড়ি আরোপ হতে পারে। তাদের বিশ্বাস জার্মানির সংস্কৃতিতে ইসলামিক ভাবভঙ্গি জায়গা পেতে পারে না। গত বছর স্থানীয় নির্বাচনে এএফডির জয়ের পরও ম্যার্কেলেরে কনজারভেটিভ পার্টি ও তাদের জোটসঙ্গী সোশ্যাল ডেমোক্রেটরা শরণার্থীদের উপর কঠোর আইন করতে বাধ্য হয়েছিলো।

রবিবারে ভোটে ১৩ শতাংশ ভোট পাওয়ায় এএফডি আবারও সংসদে শরণার্থীদের বিপক্ষে ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে আশঙ্কা।

নাবিল জায়নালদিন নামে এক শরণার্থী বলেন, ‘ম্যার্কেল আজ আমাদের জন্য জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। আমরা বুঝি জার্মানরা কি নিয়ে শঙ্কিত। তবে আমরা বলতে চাই যে আমরা আেইনের প্রতি শ্রদ্ধা করা নাগরিক।’ তবে শরণার্থী নিয়ে নতুন সরকারের নীতি কি হবে সেটা নিয়েও তারা চিন্তিত বলে জানান জায়নালদিন।