ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদন

বৈশ্বিক সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের সাত ধাপ অগ্রগতি

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে ৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম পরিচালিত গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১৭-২০১৮ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০৬তম স্থানে থেকে ৯৯তম স্থানে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে দুর্নীতিকে অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
noname

১৩৭টি দেশের তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সূচকে শীর্ষস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড, তাদের স্কোর ৫ দশমিক ৮। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, হংকং, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, জাপান, ও ফিনল্যান্ড।

মৌলিক চাহিদা, পারদর্শিতা, দক্ষতা আর নতুনত্বের মতো বিষয়গুলোকে দক্ষতা বিচারের মাপকাঠি হিসেবে দেখে থাকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। প্রতিবেদন অনুযায়ী,  বাংলাদেশ সূচকের ৭ পয়েন্টের মধ্যে পেয়েছে ৩.৯ পয়েন্ট। গত বছর বাংলাদেশ পেয়েছিল ৩.৮ পয়েন্ট।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ম্যাক্রো অর্থনীতি পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভালো ফল করেছে। এইক্ষেত্রে ১৩৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৬। তবে স্বাস্থ্য আর শিক্ষায় আশানুরূপ সূচক অর্জনে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অবস্থান ১০২ আর শিক্ষায় ১১৭।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য আইসিটি অবকাঠামো এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ছিল বড় বাধা। গত দশকে সাব-সাহারা আফ্রিকার মতো এ অঞ্চলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এক প্রকার ‘অপরিবর্তিত অবস্থায়’ ছিল।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় প্রতিটি দেশই এ সূচকে উন্নতি করেছে। এর মধ্যে পার্শ্ববর্তী ভারত সূচকের প্রায় সবগুলোতে উন্নতি করেছে। সূচকে ভারতের অবস্থান ৪০তম। এ ছাড়া ভুটান ১৫ ধাপ এগিয়ে ৮২তম স্থানে, নেপাল ১০ ধাপ এগিয়ে ৮৮তম স্থানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মতো ৭ ধাপ এগিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির অবস্থান ১১৫তম।