আমেরিকা ফার্স্ট মাথায় রেখেই বাণিজ্য চুক্তি: ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্পযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন বাজারে অন্য দেশগুলোর পণ্যসামগ্রী প্রবেশে বিধিনিষেধ অনেক কম। তাদের শুল্কও কম দিতে হয়। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে মূল্য দিতে হচ্ছে। আমাদের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মুক্ত বাণিজ্যের ফলে লাখ লাখ আমেরিকান কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। ভবিষ্যতে আমেরিকা ফার্স্ট মাথায় রেখে বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। শুক্রবার ভিয়েতনামে এশিয়া-প্যাসেফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশন (এপিইসি) সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাষণে এপেক-এর সদস্য দেশগুলোকে ‘ন্যায্য পারস্পরিক বাণিজ্য’ নীতি মেনে চলার আহ্বান জানান। যেসব দেশ এটা মেনে চলবে তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। তবে এর ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান ও সুবিধা।

দৃশ্যত ট্রাম্পের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল চীন। তবে এই আক্রমণাত্মক ভাষণের ঘণ্টাখানেক আগেই চীন সফরে দেশটির ভূয়সী প্রশংসা করেন ট্রাম্প। বাণিজ্য ঘাটতি এবং উত্তর কোরিয়া নীতির জন্য তিনি শি জিনপিং সরকারের প্রশংসা করেন। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘বাণিজ্য খাতে চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ায় আমি বেইজিংকে দায়ী করছি না। আগের মার্কিন প্রশাসনের অযোগ্যতাই এর জন্য দায়ী।’

উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে তিনি বলেন, চীন চাইলে এ সমস্যার দ্রুত ও সহজ সমাধান করতে পারে। এ সময় তিনি এ বিষয়ে চীনা প্রেসিডেন্টকে 'আরও বেশি কিছু' করার অনুরোধ জানান। সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন।