চাপা ক্ষোভ নিয়েই বাদশাহ সালমানকে স্যালুট দিয়েছিলেন হারিরি!

পদত্যাগপত্র ঘোষণার সময় সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল্লাহকে ঠিকই কুর্নিশ করেছিলেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি, তবে  তার ভেতরে চাপা ক্ষোভ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে। বাদশাহ'র কাঁধে প্রথাগত চুমো দেয়ার রীতিনীতি সম্পন্ন না করেই তিনি তার অভিবাদন শেষ করেন বলে জানিয়েছে ওই সংবাদমাধ্যম। তারা জানিয়েছে, সে= সময় হারিরিকে বেশ হতাশাগ্রস্তও দেখা গেছে। রয়টার্স সম্প্রতি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহবিরোধী অবস্থান জোরদারে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে ক্ষমতা থেকে সরতে বাধ্য করেছে সৌদি আরব।

5bc3689e-0f87-4946-9497-54359ceeec49_16x9_788x442

প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, লেবাননের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী সা’দ হারিরি সৌদি বাদশাহ সালমানকে অভিবাদন জানানোর জন্য অন্যান্য অতিথির সঙ্গে অপেক্ষা করছেন।  সালমান মদিনা থেকে ফেরার পর এক রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ধারাবাহিকভাবে বাদশাহকে কুর্নিশ করছেন এবং তার হাতে চুমো দিচ্ছেন। তখন দেখা যাচ্ছে, হারিরি লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং রীতিনীতি সম্পূর্ণ না করেই তিনি তার অভিবাদন শেষ করেন। গত ৪ নভেম্বর শনিবার সৌদি আরব সফরে গিয়ে হঠাৎ করেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাদ হারিরি। এখনও সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।  

হারিরির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘সৌদি আরব সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহকে মোকাবিলায় অনিচ্ছা প্রকাশ করার কারনে সাদ হারিরিকে আগেই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত ছিল।’

ওই সূত্রটি আরো বলেছে, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার আগে সাদ হারিরি সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “ওই সব বৈঠকে যা ঘটে থাকতে পারে সে ব্যাপারে আমার বিশ্বাস হলো, হারিরি সৌদি কর্মকর্তাদের এ কথা বোঝানোর চেষ্টা করেন যে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষে গেলে লেবানন অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। আমার বিশ্বাস, সৌদি কর্মকর্তারা তার বক্তব্যে খুশি হতে পারেনি।’