সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসছে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান

ভ্লাদিমির পুতিন এবং রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানসিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আগামী আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসছে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান। ২২ নভেম্বর রাশিয়ার অবকাশযাপন শহর সোচিতে এ আলোচনায় শুরু হবে। আলোচনায় সিরিয়ার সহিংসতা কমিয়ে আনা এবং বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি’র এ আলোচনায় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। এছাড়া তাদের সঙ্গে থাকবে নিজ নিজ দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল। তুরস্কসহ অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মতো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের উৎখাত চেয়েছিল। কিন্তু সিরীয় যুদ্ধ শুরু হওয়ার দুই বছরের মাথায় আসাদের সমর্থনে সিরিয়ায় সেনা ও বিমান পাঠিয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় রাশিয়া। সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থ হওয়ায় এবং রুশ সফলতায় ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন পাল্টে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক এখন মস্কোমুখী হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ মিত্র দেশ আসাদের উৎখাতের পক্ষে ছিল। কিন্তু মার্কিন সেনাবাহিনী যখন আসাদকে উৎখাতে শক্তির প্রয়োগ করেনি তখন তাদের বিভ্রম কেটে যায়। সিরিয়ার আসাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। এক পর্যায়ে তিনি মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় কোনও ফল আসে না। এখন আসাদের পৃষ্ঠপোষক রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক। এখন মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনীতির দুই ঝানু খেলোয়াড় তুরস্ক ও ইরানকে সঙ্গে নিয়ে সিরিয়ার সংঘাত থামাতে কাজ করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ প্রক্রিয়ায় আলোচনার টেবিল থেকেই বাদ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।