পদত্যাগ করলেন মুগাবে

রবার্ট মুগাবেজিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে পদত্যাগ করেছেন। দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার জ্যাকব মুডেনডা এ তথ্য জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, মুগাবে তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন এবং নির্বিঘ্নে ক্ষমতার হস্তান্তরের সুযোগ করে দিতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মুগাবের এই পদত্যাগের সিদ্ধান্তে তার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অভিশংসন প্রক্রিয়া স্থগিত হয়েছে। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার খবর পেয়ে দেশটির আইনপ্রণেতা ও সাধারণ মানুষদের রাস্তায় উল্লাস করতেও দেখা গেছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেনাবাহিনী জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায় এবং মুগাবেকে গৃহবন্দি করে। এরপর জনগণের দাবির মুখে মুগাবেকে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয় দেশটির ক্ষমতাসীন দল জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন-প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট (জানু-পিএফ)। একইসঙ্গে দলটি মুগাবে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল।
তবে মুগাবে বরাবরই পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছেন। পদত্যাগের ব্যাপক চাপের মাঝেও জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি জানান, ক্ষমতা ছাড়ছেন না।

চার দশকের শাসনামলে মুগাবে এক সময়ের সমৃদ্ধ দেশটির অর্থনীতির বিপর্যয় ঘটে। বিরোধীদের নির্যাতন ও দমন পীড়ন চালানো হয়। যদিও তিনি নিজেকে আফ্রিকার রাজনীতির সবচেয়ে বড় নেতা হিসেবে জাহির করতেন। আফ্রিকাজুড়ে তার অনেক সমর্থক তৈরি হয়েছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, বরখাস্তের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া এমারসনই প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে পারেন।  সাবেক নিরাপত্তা প্রধান এমারসন কুমির হিসেবে পরিচিত। তিনি মুগাবের ঘনিষ্ঠদের একজন ছিলেন। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের দমনে বড় ভূমিকা ছিল তার।

সেপ্টেম্বরে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মুগাবেকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছেন এমারসন। তাকে সমর্থন করছে সেনাবাহিনী।

মুগাবে জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতাযুদ্ধে লড়াই করেছেন। ঔপনিবেশিক পরবর্তী সময়ে জিম্বাবুয়ের জাতির পিতায় পরিণত হন তিনি। তবে অনেকেই দাবি করেন, তিনি জিম্বাবুয়ের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছেন।