কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি জিম্বাবুয়ের নতুন নেতার

এক সপ্তাহ ধরে চলা জিম্বাবুয়ের রাজনীতিতে ব্যাপক পালাবদলের পর দেশে ফিরেছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন ম্যানানগাওয়া। দেশের ফিরেই দিয়েছেন গণতন্ত্রের বিকাশ ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

_98871188_zim

প্রতিবেদনে বলা হয়, রবার্ট মুগাবের পদত্যাগ করায় তিনিই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। আগামী শুক্রবারই তার দায়িত্ব নেওয়ার কথা।

দেশে ফিরে সমর্থকদের উদ্দেশে এক ভাষণে তিনি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ দেন এবং সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানান।

স্ত্রী গ্রেসকে দেশটির ক্ষমতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া হিসেবে এমারসনকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। এরপরই জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক সংকটের শুরু। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেনাবাহিনী জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায় এবং প্রেসিডেন্টকে গৃহবন্দি করে। এরপর জনগণের দাবির মুখে মুগাবেকে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয় দেশটির ক্ষমতাসীন দল জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন-প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট (জানু-পিএফ)। নতুন নেতা হিসেবে বরখাস্ত হওয়া সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসনকে নির্বাচিত করা হয়। একইসঙ্গে দলটি মুগাবে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল। আলটিমেটামের সময় শেষ হলে মঙ্গলবার সংসদে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর পদত্যাগ করেন মুগাবে।

এরপর বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপন শেষে দেশে ফিরে রাজধানী হারারেতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সেবক হবার অঙ্গীকার করছি। আমি সকল দেশপ্রেমিক জিম্বাবুইয়ানদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো। এখানে কেউই কারো চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নন। আমাদের পরিচয় আমরা জিম্বাবুয়ের নাগরিক। আমরা আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাই, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা চাই কাজ, কাজ এবং কাজ।"

ধারণা করা হয় জিম্বাবুয়ের প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষ কর্মহীন। ম্যানানগাগওয়ার বেকারত্ব অবসানের এই ঘোষণায় জানু-পিএফ পার্টির সদরদফতরের সামনে উল্লাসে ফেটে পরে জনতা।

ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ পার্টির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে ৭১ বছর বয়সী নতুন এই নেতা ২০১৮ সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকছেন।

মুগাবের ৩৭ বছরের শাসনের অবসান হলে দেশে ফেরার আগে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট দেখা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার সাথে।