মার্কিন দূতাবাস সরবে কী না এখনও জানেন না ম্যাকমাস্টার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার বলেছেন, তিনি এখনও জানেন না তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হবে কী না। তিনি জানান,  দূতাবাস সরানোর বিষয়ে ট্রাম্পকে তার পরামর্শকরা বেশ কিছু বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন। সোমবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এর এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

951743705

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের শান্তি আলোচনা ত্বরান্বিত হবে এমন প্রস্তাবও দিয়েছেন পরামর্শকরা। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে যেকোনও ধরনের সহিংস পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে। কারণ দূতাবাস সরিয়ে নিলে আন্দোলন করতে পারে ফিলিস্তিনিরা।

ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুসলিম; তিন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থস্থান জেরুজালেম। দূতাবাস সরিয়ে নিলে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে নেবেন। তবে এখনও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি তিনি। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলেই জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি পাবে। ট্রাম্পের পদক্ষেপ রুখতেই আরব লীগ আর ওআইসিকে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। রয়টার্স শীর্ষ একজন মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ট্রাম্পের পদক্ষেপ ঠেকাতেই বৈঠক আয়োজনে তৎপর হয়েছে জর্ডান।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের এক মুখপাত্র জানান, এই সিদ্ধান্তে মধ্যপ্রাচ্য আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। মাহমুদ আব্বাস মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি, কাতারের আমির আল থানি ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন।

জর্ডানের রাজা আব্দুল্লাহ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্তে  ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি শান্তি আলোচনা ব্যহত হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত তার পূর্বসূরি প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা সবাই মনে করতেন জেরুজালেমের বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। ট্রাম্পের এমন পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে আরব লীগও। সংস্থাটির মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেত বলেছেন, এর ফলে সন্ত্রাস ও সহিংসতা বাড়বে।