ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে চার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী নিহত, আটক শতাধিক

ইসরায়েলি বাধা উপেক্ষা করে জেরুজালেম প্রশ্নে ট্রাম্পের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামার পর এরইমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ১,৬৩২ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটর খবরটি জানিয়েছে। আর বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের প্রথম তিন দিনে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কারাবন্দিদের অধিকারের পক্ষের সংগঠন আদামির। 

ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী
৬ ডিসেম্বর বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। ট্রাম্পের ঘোষণার পর পরই বিক্ষোভে নামেন ফিলিস্তিনিরা।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, পশ্চিমতীর ও জেরুজালেমে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১,৩২৭ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে তাজা গোলাবারুদের হামলায় আহত হয়েছে ২৮ জন, রাবারের আবরণে ঢাকা মেটাল বুলেটে বিদ্ধ হয়েছে ৩০৫ জন এবং কাঁদানে গ্যাসের কারণে আহত হয়েছে আরও ৯৬২ জন। তাছাড়া পিটুনি, পড়ে গিয়ে, পুড়ে গিয়ে এবং দৌড়াতে গিয়ে আরও ১৫ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সময়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩০৫ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।  

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে যে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট মনিটর। তারা হলেন: মাহমুদ আল-মাসরি (৩০), মাহের আতাল্লাহ (৫৪), আব্দুল্লাহ আল-আতাল (২৮) এবং মোহাম্মদ আল-সাফাদি (৩০)।

এদিকে কারাবন্দিদের অধিকার আন্দোলনের সংগঠন আদামির বলছে, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর প্রথম তিন দিনে ১০০-রও বেশি ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। সংগঠনটির হিসেব অনুযায়ী, পূর্ব জেরুজালেম থেকে ৩৫-৪০ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। হেবরন থেকে আটক হয়েছেন ২৫ জন; এর মধ্যে শিশুও রয়েছে।