নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ঘোষণা রাশিয়ার

রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অঞ্চলটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। একইসঙ্গে ইইউ-এর ওই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অবৈধ ও ভুল’ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ক্রেমলিন। শুক্রবার রুশ সংবাদমাধ্যম তাস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা তুলে ধরেন ক্রেমলিনের মুখ্পাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

nonameপেসকভ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এসব পদক্ষেপ (অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা) ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা রাশিয়া; কারও জন্যই কোনও সুফল বয়ে আনবে না। তাদের আচরণে মর্মাহত হলেও রাশিয়া ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না। আমরা বরং ব্রাসেলসের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছি।’

এর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও ছয় মাস বাড়াতে একমত হন ইইউ নেতারা। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, ‘রাশিয়ায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইইউ সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ব ইউক্রেনে সংঘাত থামাতে মিনস্ক চুক্তি ‘পূর্ণ বাস্তবায়ন’ না করার অভিযোগ তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর প্রতিক্রিয়ায় এ বছরের জুনে ইইউ মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে খাদ্য আমদানি বন্ধ রাখতে জুলাই মাসে এক ডিক্রিতে সই করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ডিক্রিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো দেড় বছরের জন্য রাশিয়ায় খাদ্যপণ্য রফতানির সুযোগ হারায়।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে রাশিয়ায় যোগ দেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৪ সালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তখন রাশিয়াও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। পরে দুই পক্ষই তাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায়। রুশ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।