অস্ট্রিয়ার সরকারের অংশ হচ্ছে উগ্র-ডানপন্থীরা

অস্ট্রিয়ায় একটি উগ্র-ডানপন্থী দল ক্ষমতার অংশীদার হতে যাচ্ছে। পশ্চিম ইউরোপে অস্ট্রিয়াই একমাত্র দেশ হতে যাচ্ছে  যেখানে একটি উগ্র-ডান দলকে নিয়ে জোট সরকার গড়া হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

_99235400__99233099_043608138

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপে বেশ কিছুদিন ধরেই উগ্র-দক্ষিণপন্থীদের প্রভাব বাড়ছিল। ইউরোপের এই উগ্রদক্ষিণপন্থী দলগুলো অভিবাসন, ইসলাম এবং ইইউ বিরোধী।

এই জোটে রক্ষণশীল পিপলস পার্টি এবং উগ্র-ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি। এর আগে ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্তও এই জোট ক্ষমতায় ছিল। অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডর ভ্যান ডার বেলেন এই জোটকে অনুমোদন দিয়েছেন।

গত অক্টোবরের নির্বাচনে পিপলস পার্টি জয় পেলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। জোট সরকারের নীতি কি হবে তা এখনো জানানো হয়নি। নির্বাচনী প্রচারের সময় পিপলস পার্টির প্রতিশ্রুতি ছিল ইউরোপে অভিবাসীদের ঢোকার পথগুলো বন্ধ করে দেয়া, শরণার্থীদের কল্যাণভাতা সীমিত করা এবং অস্ট্রিয়ায় পাঁচ বছর না থাকা পর্যন্ত তাদের কোন ভাতা দেয়া বন্ধ করা।

পিপলস পার্টির নেতা সেবাস্টিয়ান কুর্জ (৩১) পৃথিবীর সবচেয়ে কমবয়স্ক সরকার প্রধান হতে যাচ্ছেন । ফ্রিডম পার্টির নেতা হাইনজ-ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাশা নির্বাচনী প্রচারের সময় পিপলস পার্টির নেতা কুর্জকে 'প্রতারক' বলে আখ্যায়িত করে অভিযোগ করেছিলেন, তারা ফ্রিডম পার্টির এজেন্ডা 'চুরি করেছে'।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে সম্প্রতি দক্ষিণপন্থী গ্রুপগুলোর প্রভাব বাড়ছে। তারা অভিবাসন এবং ইইউ-বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। তবে অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টির মতো ইউরোপের অন্য দক্ষিণপন্থীরা কিছু নির্বাচনী সাফল্য পেলেও ক্ষমতায় আসতে পারেনি।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ফ্রান্সের নির্বাচনে ডানপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের মারিন লা-পেন উদারপন্থী এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হন। নেদারল্যান্ডসে নির্বাচনেও অভিবাসনবিরোধী গিয়ার্ট ভিল্ডার্স পরাজিত হন। জার্মানির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ডানপন্থী এ এফ ডি তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও জোট সরকারে ঢোকার মত অবস্থায় নেই।