জাকার্তায় ৮০ হাজার মানুষের বিক্ষোভ, মার্কিন পণ্য বর্জনের ডাক

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির প্রতিবাদে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, রবিবার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর জাকার্তায় হওয়া সবচেয়ে বড় সমাবেশ। এদিন বিক্ষোভে নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে ৮০ হাজার মানুষ অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বর্জন করার জন্য ইন্দোনেশীয়দের প্রতি সমাবেশ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

জাকার্তায় বিক্ষোভ
৬ ডিসেম্বর বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল নিন্দা ও প্রতিবাদ জারি রয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে পশ্চিম তীর, জেরুজালেমসহ বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার ইন্দোনেশিয়ায় চতুর্থদিনের মতো বিক্ষোভ আয়োজিত হয়।

জাকার্তায় নিয়োজিত আল জাজিরার সাংবাদিক দেশি আরিয়ান্তি বলেন, রবিবার সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল মনুমেন্ট ইন জাকার্তায় জড়ো হতে থাকে বিক্ষোভকারী। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে জাকার্তা শহরের বাইরে থেকেও অনেক মানুষ সমাবেশে যোগ দেন। তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনি পতাকা ও ব্যানার। যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নেওয়ার পরিকল্পনা বাতিলের জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান তারা। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ছেড়ে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতিও আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে জেরুজালেমের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত না পাল্টানো পর্যন্ত মার্কিন পণ্য বর্জন করার জন্য ইন্দোনেশীয় নাগরিকদের প্রতি সমাবেশ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ান কাউন্সিল অব উলেমা এর শীর্ষ চিন্তাবিদ এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন পড়ে শোনান। তিনি বলেন, ‘তাদের পণ্যের উপর নির্ভর করো না।’

জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র আরগো ইউওনো এর বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায় বিক্ষোভকারীরা ন্যাশনাল মনুমেন্ট পার্ক থেকে মার্কিন দূতাবাস পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা মিছিল করেছে। কোনও কোনও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পুলিশের ধারণার চেয়ে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ ছিল।