মুম্বাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের অধিকাংশই নারী

ভারতের মুম্বাইয়ের কমলা মিলস ভবনের কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ও অফিসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হওয়া ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনই নারী। ভবনটির রেস্টুরেন্টে জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদযাপন করতে গিয়ে পুড়ে মারা যান তারা। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

noname২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভবনটির একটি রেস্তোরাঁ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশেপাশের রেস্তোরাঁ ও অফিস ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মধ্য মুম্বাইয়ের লোয়ার পারেল এলাকার কমার্শিয়াল হাব কমলা মিলস ভবনে বেশ কয়েকটি রেস্তোঁরা রয়েছে। গত কয়েক বছরে এগুলোর মধ্যে অনেকগুলিই হয়ে উঠেছে নাইট ক্লাব। এছাড়াও রয়েছে বার, পাব, গেমিং জোন ইত্যাদি। সপ্তাহশেষে এই এলাকায় প্রচণ্ড ভিড়  হয়। ‘ওয়ান অ্যাবাভ’ এমনই একটি রেস্তোঁরা। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ সেখানে অন্তত ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আগুন লাগে ‘ওয়ান অ্যাবাভ’ রেস্তোঁরায় শর্ট সার্কিট হয়ে, তারপর তা দ্রুত ছড়িয়ে যায় মোজোস লাউঞ্জ ও লন্ডন ট্যাক্সি পাব নামে আর দুটি রেস্তোঁরায়। আধা ঘণ্টারও কম সময়ে গোটা বহুতলটি গ্রাস করে নেয় আগুনের শিখা। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ধোঁয়ায় দম আটকে মারা গিয়েছেন অন্তত ১৫ জন। তাছাড়া অনেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে।

দমকল বিভাগ মনে করছে, এখানকার বেশিরভাগ রেস্তোঁরায় অগ্নিনির্বাপণ সংক্রান্ত নিয়মকানুন মানা হয় না, সে কারণেই এত তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে যায় আগুন। ওয়ান অ্যাভাব রেস্তোঁরা মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

এই বহুতলে মিরর নাউ, জুম, টাইমস নাউয়ের মত বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের অফিস রয়েছে। আগুনে সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সম্প্রচার। সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি, এবিপি আনন্দ।