যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পরোয়া করি না: নওয়াজ শরিফ

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিকে পাকিস্তান পরোয়া করে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সৌদি সফর শেষে দেশে ফেরার একদিন পর বুধবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। নওয়াজ শরিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকানের প্রতি আমার পরামর্শ তিনি যেন একটি কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেন। যাতে ভবিষ্যতে আমাদের আর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়। পাকিস্তানের ভাবমূর্তির ওপর কেউ যেন এভাবে হামলে পড়ার সুযোগ না পায়।

নওয়াজ শরিফনওয়াজ শরিফ বলেন, নাইন-ইলেভেনের ঘটনার পর বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে পাকিস্তান কখনও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি হতো না। তৎকালীন স্বৈরশাসক যেভাবে সক্ষমতা ও আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়েছে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে পরিস্থিতি তার চেয়ে ভিন্ন হতো। তারা আত্মসম্মান বোধ বিকিয়ে দিতো না।

সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের দিকে ইঙ্গিত করে নওয়াজ শরিফ বলেন, একটা বিষয় মনে রাখা উচিত। এটা ২০০১ সাল নয়। কোনও সামরিক স্বৈরাচার (পারভেজ মোশাররফ) এখন দেশ পরিচালনা করছে না। একটা ফোন কলেই আমরা এখন আর সন্ত্রস্ত হয়ে যাবো না।

এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের দূত মালিহা লোধি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের মর্যাদা বুঝতে না পারলে তাদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’

২০১৮ সালের প্রথম দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইটকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে এ বাক যুদ্ধ শুরু হয়। ওই টুইটে পাকিস্তানকে আর্থিক সহযোগিতা বন্ধের হুমকি দেন ট্রাম্প। তার অভিযোগ, পাকিস্তান সহিংস জঙ্গিদের আশ্রয় ও তাদের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। তবে মালিহা লোধির ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজের ভুল ও ব্যর্থতা অন্যের ঘাড়ে চাপাচ্ছে। অথচ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি অবদান রাখার পাশাপাশি ত্যাগও স্বীকার করেছে।

উল্লেখ্য, টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বোকার মতোই পাকিস্তানকে গত ১৫ বছরে ৩৩ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দিয়েছে। বিপরীতে তারা আমাদের মিথ্যা ও শঠতা ছাড়া কিছুই দেয়নি। তারা আমাদের নেতাদের বোকা ভাবছে। আমরা আফগানিস্তানে যেসব সন্ত্রাসীদের তাড়া করছি। আর তাদের নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। তারা আমাদের কোনও সহযোগিতা করছে না। আর না।’ সূত্র: জিও টিভি, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।