ভেনেজুয়েলায় হেলিকপ্টার হামলাকারীকে গ্রেফতার অভিযানে কয়েকজন নিহত

ভেনেজুয়েলায় হেলিকপ্টার চুরি করে সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত অস্কার পেরেজ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। ওই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। তবে অভিযুক্ত পেরেজের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্য আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ভেনিজুয়েলার পুলিশের এলিট ফোর্স

গত জুন মাসের শেষ দিকে চালানো ওই হামলাকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেন। সেনা কর্মকর্তা অস্কার পেরেজ পুলিশ হেলিকপ্টার নিয়ে রাজধানী কারাকাসে প্রদক্ষিণ করতে থাকেন। সে সময় হেলিকপ্টার থেকে সুপ্রিম কোর্ট ভবন লক্ষ্য করে কয়েকটি গ্রেনেড ছুড়ে মারা হয়। পরে হেলিকপ্টারটি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও গুলি ছোড়া হয়। তবে এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। হামলার আগে এক ভিডিও বার্তায় সরকারের নিন্দা করেছিলেন অস্কার পেরেজ। ইনস্টাগ্রামে তার ভিডিওতে আরও কয়েকজন ইউনিফর্ম পরিহিত ব্যক্তি ছিলেন। তবে তারা সবাই মুখোশধারী।

সোমবার পেরেজ ইনস্টাগ্রামে নিজের কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করে। এতে দেখা যায়, রাজধানী কারাকাসের শহরতলীতে ভেনেজুয়েলান পুলিশের একটি এলিট বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি ও তার কয়েক সহযোগী আহত হয়েছেন। ভিডিওতে পেরেজ বলেন, ই-ওয়ান জুনকিতোর সড়কে তিনি ও তার সহযোগীদের পুলিশ ঘিরে আটকে ফেলে। পুলিশ তাদের দিকে গ্রেনেড ছুড়ে মারে। তারা আত্মসমর্পণ করতে চাইলেও পুলিশ তা করতে দেয়নি। পুলিশ তাদের মেরে ফেলতে চায় বলেও ভিডিওতে অভিযোগ করে পেরেজ।   

ভিডিওতে দেখা যায়, পেরেজকে তার সহযোগীরা ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। তার মুখে রক্ত ও হাতে একটি মেশিন গান রয়েছে। কয়েকটি ভিডিওতে গুলির শব্দও শুনতে পাওয়া গেছে।

তবে ভেনেজুয়েলার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আত্মসমর্পণের কথা বলার সময় পেরেজের দল পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পেরেজের দল একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি বিস্ফোরণ করার চেষ্টা করে। গোলাগুলিতে কমপক্ষে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ পেরেজের দলের অজ্ঞাত সংখ্যক সদস্য নিহত হয়েছে। পরে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও পেরেজের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।

অস্কার পেরেজ

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এই সন্ত্রাসীরা ভারী অস্ত্র নিয়ে তাদের ধরতে যাওয়া কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালায়।’

হেলিকপ্টার হামলার পর কয়েকটি ভিডিও বার্তায় পেরেজ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আলাদা বাহিনী গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রশাসনের উপর বিরক্ত হয়ে তিনি ওই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান। এরপর ‘সন্ত্রাসী হামলা’র অভিযোগ এনে পেরেজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ভেনেজুয়েলা কর্তৃপক্ষ।