‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পূর্ণ বাস্তবায়ন করছে না রাশিয়া’

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করছে না বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও অন্য কিছু জায়গায় তারা ভালো করছে। বুধবার কানাডায় উত্তর কোরিয়া বিষয়ক এক বৈঠক থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

রেক্স টিলারসনমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, তারা সব নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করছে না। এমন প্রমাণ রয়েছে যে, কিছু নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।

এদিকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পারমাণবিক শক্তিতে ভীত হয়ে পড়েছে। তাই তারা আমাদের দেশের ওপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা ও চাপ সৃষ্টির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।’

অন্যদিকে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র পরিহারে বাধ্য করতে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টি দেশ। কোরীয় যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে থাকা এসব দেশ কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।

সমঝোতায় না আসলে ‍উত্তর কোরিয়ায় সামরিক অভিযানের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। বৈঠকে দুই কোরিয়ার মধ্যে নতুন আলোচনাকে সমর্থন জানিয়ে তা উত্তেজনা কমাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। সমস্যাটি কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান প্রয়োজন এবং তা সম্ভবও বলে একমত হয়েছেন ২০ দেশের প্রতিনিধিরা।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার আয়োজনে দিনব্যাপী বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার উপর  চাপ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের খুব সংযমী ও বিচক্ষণ হওয়া প্রয়োজন। আমাদের বুঝতে হবে যে, হুমকি বাড়ছে। উত্তর কোরিয়া প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা ও সমঝোতার পথ বেছে না নিলে নিজেরাই অন্য বিকল্প তৈরি করে দেবে।’

রেক্স টিলারসন বলেন, ‘আমাদের মতে উত্তর কোরিয়ার সঠিক পদক্ষেপ হবে সবচেয়ে ভালো বিকল্পটি বেছে নেওয়া। আর সংলাপই হলো সেরা বিকল্প। তারা সামরিক পদক্ষেপের দিকে নজর দিলে তার ফল ভালো হবে না।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আলোচনার সময়। কিন্তু তারা যে আলোচনা করতে চায়, এ কথাটি তাদেরই বলতে হবে।’