‘ট্রাম্পমুক্ত এলাকা’ প্রচারাভিযানে সফল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কাউন্সিলর

লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসকে ‘ট্রাম্পমুক্ত এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে শহর কাউন্সিল অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠ লেবার পার্টির কাউন্সিলররা এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে সায় দেন। আর প্রচারাভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে ওই প্রস্তাব এনেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কাউন্সিলর ওহিদ আহমেদ।

টাওয়ার হ্যামলেটসকে ট্রাম্পমুক্ত এলাকা ঘোষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ওহিদ আহমেদ।

 

গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর এখনও অন্যতম মিত্র দেশ যুক্তরাজ্য সফর করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেই সফরের পরিকল্পনা থাকলেও গত সপ্তাহে এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করেছেন ট্রাম্প। তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দফতর ডাউনিং স্ট্রিট আশা করছে আগামী ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য সফর করবেন ট্রাম্প। আর এর মধ্যেই লন্ডনের বিভিন্ন শহর কর্তৃপক্ষ ‘ট্রাম্পমুক্ত এলাকা’ ঘোষণা করছে। গত মাসে টাওয়ার হ্যামলেটসের পাশ্ববর্তী গ্রিনউইচকেও ‘ট্রাম্পমুক্ত এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে।

শহর কাউন্সিলে প্রস্তাব পাস হওয়ার পর ওহিদ আহমেদ বলেন, আশা করি এই প্রচারাভিযান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একটি পরিষ্কার বার্তা দিতে সক্ষম হবে।’ তিনি বলেন, ‘আসলে ডাউনিং স্ট্রিট ও হোয়াইট হাউস এখনও সফর অনুষ্ঠানের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তাকে আমন্ত্রণ গ্রহণ করানো হলেও তারিখও চূড়ান্ত করা হয়নি। একারণেই টাওয়ার হ্যামলেটসকে শিকাগোর মতো ট্রাম্পমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করাটা গুরুত্বপূর্ণ।’

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে স্বাগত জানানো উচিত হবে না। তার অসিহষ্ণুতার বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই ব্যাপক অসহিষ্ণুতা দেখাব।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উডি জনসনকে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্য সফরের আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের জন্য চিঠিও দিয়েছেন কাউন্সিলর ওহিদ আহমেদ।

গত মাসে পাশ্ববর্তী গ্রিনউইচকেও ‘ট্রাম্পমুক্ত এলাকা’ ঘোষণার পর টাওয়ার হ্যামলেটসও একই উদ্যোগ নেয়। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে লেবার পার্টি। গ্রিনউইচ কাউন্সিলেও রয়েছে একই দলের নেতৃত্ব। গ্রিনউইচ কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয় ‘রাষ্ট্রীয় সফরে আসলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তাদের শহরে স্বাগত জানানো হবে না।’

ট্রাম্পের সফরের পরিকল্পনাকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী সপ্তাহে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকের সময় সফরটির বিষয়ে ট্রাম্প-থেরেসা বৈঠক নির্ধারণের চেষ্টা চলছে। আর হোয়াইট হাউসের একটি সূত্রও যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের সামান্য স্থবির সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে এমন বৈঠকে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।