সিরিয়ায় জার্মান ট্যাংক ব্যবহার করছে তুরস্ক, অস্ত্রচুক্তি স্থগিতের দাবি

সিরিয়ায় কুর্দিবিরোধী অভিযানে জার্মানির তৈরি লিওপার্ড ট্যাংক ব্যবহার করছে তুরস্ক -এমন খবর প্রকাশের পর জার্মানিতে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। দেশটির বেশ কয়েকজন রাজনীতিক তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তুর্কি বাহিনীর ট্যাঙ্ক

শনিবার তুরস্ক নেতৃত্বাধীন বাহিনী সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হামলা শুরু করেছে। অভিযানের চার দিনে ২৬০ কুর্দি যোদ্ধা ও আইএস জঙ্গিকে হত্যার দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। আর হামলায় অনেক বেসামরিক লোকও নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। আফরিনের কয়েক লাখ বাসিন্দা সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু পারছেন না।

কয়েক সপ্তাহ আগেই তুরস্ক ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে দেশটির অভ্যন্তর থেকে এমন দাবি উঠল।

শুক্রবার প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ‍জার্মান অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রিহেইনমেটালকে  লিওপার্ড-২ ট্যাংকটি আরও উন্নত করার অনুরোধ করেছে তুরস্ক। আর জার্মানি সেই অনুরোধ অনুমোদন দিতে যাচ্ছে। আধুনিকায়ন করা হলে বিস্ফোরকে আঘাতে ট্যাংকগুলো কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভাবা হয়েছিল সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে এই ট্যাংক ব্যবহার করবে তুরস্ক। তবে বিভিন্ন জার্মান সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, তুরস্কের অভিযানের সাম্প্রতিক ছবিগুলোতে দেখা গেছে তা কুর্দিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

কয়েকজন জার্মান রাজনীতিক বলেছেন, তুরস্কের সঙ্গে ট্যাঙ্ক আধুনিকায়নের যেকোনও ধরনের চুক্তি স্থগিত করা হোক। ডান ও বামপন্থী উভয় দলের রাজনীতিকরাই এই ট্যাঙ্ক আধুনিকায়নের প্রতিবাদ করেছেন। এছাড়া তারা তুরস্কের এই অভিযানে জার্মান সরকারের অবস্থান পরিস্কার করারও দাবি জানান।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গোলা মেরকেলের খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের সদস্য ও সংসদীয় পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান নোবার্ট রোটগেন বলেন, জার্মানির এই অস্ত্র আধুনিকায়ন চুক্তি থেকে সরে আসা প্রয়োজন। আর এটা ‘পুরোপুরি অত্যাবশকীয়’।

এ দিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্রাবিয়েলও সোমবার বলেছেন, আফরিন অভিযানে মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন।