লিবিয়া উপকূলে ৯০ অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কা





লিবিয়া উপকূলে এক নৌকাডুবিতে ৯০ জন অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন দফতর। ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া তিনজন জানিয়েছেন ডুবে যাওয়াদের বেশিরভাগই পাকিস্তানি নাগরিক। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নৌকাডুবিতে নিহত ও বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে এবার লিবিয়ার নাগরিকেরাও ছিলো।

লিবিয়ার উপকূলে শরণার্থী বোঝাই নৌকা। পুরনো ছবি
গত কয়েক বছরে সমুদ্রপথে দক্ষিণ ইউরোপে পৌঁছাতে অভিবাসী প্রত্যাশীদের প্রধান রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। গত বছর অভিবাসী ও শরণার্থীদের ইতালি পৌঁছাতে বাধা দিতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে সহায়তা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি বিতর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওই চুক্তিকে অমানবিক পদক্ষেপ আখ্যা দেয় বিভিন্ন সাহায্য সংগঠন ও জাতিসংঘ।লিবিয়ায় অভিবাসীদের নির্যাতনের জন্য ইইউ সরকারকে দায়ী করে অ্যামনেস্টি।
সাম্প্রতিক এই নৌকাডুবির বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লিবিয়ার সাগর তীরে দশটি মৃতদেহ পাওয়ার কথা জেনেছেন তারা। সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেছেন, বিপজ্জনকপথে ইতালি পৌঁছানোর চেষ্টাকারীদের মধ্যে পাকিস্তানিদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
লিবিয়ার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়াদের মধ্যে লিবিয়ার এক নারী রয়েছেন। আর বেঁচে যাওয়া তিনজনের দুইজন লিবিয়ার নাগরিক। বিবিসির উত্তর আফ্রিকা প্রতিনিধি রানা জাওয়াদ বলেন, ওই নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ও মারা যাওয়াদের মধ্যে লিবিয়ার নাগরিকদের থাকার ঘটনা অস্বাভাবিক।
নিজেদের দেশ থেকে দক্ষিণ ইউরোপে পৌঁছাতে বিপজ্জনক ও অবৈধ নৌপথে লিবিয়ার নাগরিকদের যাত্রার ঘটনা খুবই কম ঘটে। গত বছর এই ধরনের কয়েকটি ঘটনা দেখা যায়, তবে এসব লিবীয় নাগরিকেরা অভিবাসীদের নিয়ে যাওয়া নৌকা চালানোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।