ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়ামের

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাজ্যকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। অন্যদিকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে বেলজিয়াম।

ডেভিড ডেভিস ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ করেন। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বৈঠক বাতিল করে দেওয়া এবং যুক্তরাজ্যকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার চেষ্টা অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন তিনি। অন্যদিকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্যই সভা বাতিল করা হয়েছে, এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে বেলজিয়াম।

যুক্তরাজ্যের সরকরি সূত্রগুলো বলছে, ব্রেক্সিট সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ডাকা বেশ কয়েকটি বৈঠক স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বাতিল করে দিয়েছেন বেলজিয়ামের সরকারি কর্মকর্তারা।

বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত পূর্বনির্ধারিত কোনও বৈঠক বাতিল করা হয়নি। বরং যুক্তরাজ্যই হঠাৎ করে কিছু বাড়তি বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডাকতে চেয়েছিল, যা বেলজিয়াম প্রত্যাখ্যান করেছে।

‘বৈঠক বাতিল’ বা ‘অনির্ধারিত বৈঠকের আবেদন প্রত্যাখ্যান’ যা-ই হোক না কেন, ঘটনার শুরু ডেভিড ডেভিসের কড়া ভাষায় করা সমালোচনার প্রেক্ষিতে।

গত সপ্তাহে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভাষাকে ‘অভদ্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ডেভিড ডেভিস। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না ওটা কোনও আইনি প্রতিবেদন হয়েছে। ওটা রাজনৈতিক ভাষায় লেখা। ইইউ ত্যাগের পরও যাতে আমাদের ভেতর কার্যকর সুসম্পর্ক থাকে সেজন্য আমরা একটি সেতুবন্ধন তৈরির চেষ্টা করছি। এ রকম সময়ে কোনও রাখ-ঢাক না রেখে যে অভদ্র ভাষা ব্যহার করা হয়েছে তাতে পেশাদারিত্ব রক্ষিত হয়নি। প্রতিবেদনটি এমনভাবে লেখা হয়েছে যেন তারা তাদের ইচ্ছে মতো যে কোনও সময় ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সময়কাল সংক্ষিপ্ত করে দিতে পারবে। এমন কিছুর জন্য তো আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি না। এটা যথার্থ নয়। ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা সুবিবেচনাপ্রসূত কাজ হয়নি।’

যে প্রতিবেদনের ভাষায় ডেভিড ডেভিস অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন সেই প্রতিবেদনে এমন প্রস্তাব ছিল যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আদালতের নির্দেশনা ছাড়াই বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।