অর্ধশতাব্দী পর থমকে গেছে গাজার মূল হাসপাতালের কার্যক্রম

১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো থমকে গিয়েছে গাজা উপত্যকার মূল হাসপাতাল আল-শিফা’র কার্যক্রম। হাসপাতালের কর্মীরা ধর্মঘটের ডাক দিলে স্থবির হয়ে যায় সব কাজ। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদভিত্তিক ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

অর্ধশতাব্দী পর থমকে গেছে গাজার মূল হাসপাতালের কার্যক্রম

প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মঘটের কারণে শঙ্কায় পড়েছেন বহু রোগী। তবে গাজার অন্যান্য সব হাসপাতালের মতোই মেডিকেল বর্জ্য এত বেড়ে গিয়েছে যে সেগুলো সরানো সম্ভব হচ্ছে না। আর এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নতুন কোনও অস্ত্রোপচারও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।

হাসপাতালটির পরিচালক মেধাত আব্বাস বলেন, ‘এই ভয়াবহ পরিস্থিতি চলমান থাকলে শতাধিক রোগী প্রাণ হারাবেন। কিন্তু এই মেডিকেল বর্জ্যের কারণে হাসপাতাল কর্মী ও রোগী সবাই ঝুঁকিতে আছেন।

হাসপাতালের ২০০টি অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়েছে। আব্বাস বলেন, ‘আমরা দুইটি কারণে কর্মীদের কাজ করতে জোর করতে পারছি না। প্রথমত তাদেরকে ২ মাস ধরে বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর কাজের পরিবেশও এখন নিরাপদ নয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘এই মুহূর্তে আইসিইউ, স্পেশাল কেয়ার বেবি ইউনিট ও সার্জিক্যাল অপারেশন রুমে কার্যক্রম চলছে।’

পরিচ্ছন্ন কর্মীদের পাঁচ মাস ধরে বেতন দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেজন্য তারা ধর্মঘট ডাকে। এরপর সোমবার ধর্মঘটে যায় ডাক্তাররাও। 

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই ধর্মঘটে ৪০টি সার্জারি কক্ষ, ১১টি জন্মদান কক্ষ ও আইসিইউয়ের ১১০টি রোগী ঝুঁকিতে রয়েছেন।