যুক্তরাজ্যে মুরগি স্বল্পতায় বন্ধ কেএফসি’র শতাধিক দোকান

মুরগি স্বল্পতার কারণে যুক্তরাজ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফুড চেইনশপ কেএফসি-র ৫৫০টিরও বেশি দোকান। কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন বা কেএফসি-র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে তাদের মোট ৯০০টি আউটলেট রয়েছে। এর মধ্যে সোমবার রাত ৯টা নাগাদ ৫৭৫টি বন্ধ হয়ে গেছে।

nonameগত ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেএফসি’র জন্য মুরগি সরবরাহ করতো খাবার বিতরণের জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান বিডভেস্ট। কিন্তু ওই কনট্রাক্ট যখন ডিএইচএল-কে দেওয়া হলো তারপর থেকেই বিভিন্ন দোকানে মুরগির মজুত শেষ হয়ে যেতে থাকলো।

জিএমবি ইউনিয়নের একজন কর্মকর্তা মিক রিক্স বলছেন, একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ছেড়ে ডিএইচএল-কে এ দায়িত্ব দেওয়াটা ছিল এক মারাত্মক ভুল।

কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মুরগির সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য তাদের প্রতিদিন ১০ লাখ পাউন্ড করে ক্ষতি হচ্ছে। তবে এ সংখ্যাটা আনুমানিক।

কেএফসি-র অনেক দোকানে কর্মচারীদের এজন্য ছুটি নিতে উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে তাদের বাধ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ডিএইচএল। প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করেছে যে, তাদের মুরগির সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে এবং পরিস্থিতির উত্তরণে তারা চেষ্টা করছে।

কেএফসি-র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জানি গ্রাহকরা সমস্যার মুখে পড়ছেন। ভাজা মুরগি চেয়ে আপনাদের হতাশ হতে হয়েছে। আমরা অত্যন্ত দুঃখিত।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মুরগি সরবরাহের জন্য আমরা নতুন কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। কিন্তু তাদের কিছু সমস্যা রয়েছে। সারা দেশে ৯০০ রেস্টুরেন্টের জন্য মুরগি সরবরাহের কাজ খুবই কঠিন।’ সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।