উত্তেজনা কমায় মিসরে আবারও রাষ্ট্রদূত পাঠাচ্ছে সুদান

সম্পর্কের টানাপোড়েনে উত্তেজনা বাড়ায় প্রতিবেশী দেশ মিসর থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছিল ‍সুদান। তবে দুই মাস পর ওই উত্তেজনা কমায় সেখানে আবারও রাষ্ট্রদূত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। হালায়েব নামে একটি ভূ-খণ্ডের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও ইথিওপিয়ায় একটি বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে মতবিরোধের জেরে এই উত্তেজনার সূচনা হয়েছিল।

sudan

গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম ঘান্দোর রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে থাকা সম্পর্কটি ঐতিহাসিক এবং সেটা রক্ষা করা আমদের দায়িত্ব’। এরপর সোমবার ইব্রাহিম ঘান্দোর জানান, তারা মিসরে আবারও রাষ্ট্রদূত আব্দেল-মাহমুদ আব্দেল-হালিমকে আবারও মিসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাসখানেক আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও গোয়েন্দাপ্রধানরা একটি বৈঠক করেছিলেন। উত্তেজনা প্রশমনের জন্য তাদের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল কায়রোতে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জিআরইডি থেকে সুদানকে বাদ দিতে মিসর প্রস্তাব দিয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখান থেকে রাষ্ট্রদূত আব্দেল হালিমকে ডেকে পাঠায় সুদান। পরে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। ওই সময় ইথিওপিয়া দাবি করেছিল, ‘গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁস ড্যাম’ নামের প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে তা থেকে সুদানকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছিল মিসর।

মিসর ওই বাঁধ নির্মাণের বিপক্ষে ছিল। আর সুদানের অবস্থান প্রথমে তাদের পক্ষে থাকলেও পরে বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে নেয়। এছাড়া সুদান দাবি করেছিল, হালায়েব এলাকাটি জোর করে দখলে রেখেছে মিসর। আর মিসরের দাবি, এলাকাটি তাদের। গত বছর মিসরের বিরুদ্ধে নিজ দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছিল সুদান। এ কারণে মিসরের কৃষিপণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছিল তারা।

 

রয়টার্স মনে করে, হালায়েবের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়া ও সুদান-তুরস্কের মধ্য নৌ-চুক্তি হওয়ায় সন্দেহের কারণে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে থাকতে পারে সুদান। আর ইজিপ্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, ইথিওপিয়ার বাঁধ নিয়ে মতোবিরোধের কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সূত্র: রয়টার্স, আল-আরাবিয়া ও ইজিপ্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট।