ত্রিপুরায় বামদের বিদায় যুগান্তকারী: মোদি

ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে নিজ দল বিজেপির বড় জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে দেওয়া সিরিজ পোস্টে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই জয় তার দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি লিখেছেন, ‘মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরার মানুষ গণরায় দিয়েছেন। বিজেপির অ্যাক্ট ইস্ট নীতিকে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মানুষের স্বপ্ন পূরণে আমরা বদ্ধপরিকর।’

নরেন্দ্র মোদিত্রিপুরার জয়কে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়ে মোদি বলেন, ‘অসাধারণ কাজ করেছেন ত্রিপুরার ভাই-বোনেরা। তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানানোর কোনও ভাষা নেই। ত্রিপুরার পরিবর্তনে চেষ্টার কমতি রাখবো না।’

শুধু ইভিএম নয়, এটা বামদের সঙ্গে আদর্শের লড়াই ছিল বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বলেছেন, ‘এটা অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জয়। আজ থেকে ত্রিপুরায় শান্তি ও অহিংসা প্রতিষ্ঠিত হলো।’

নাগাল্যান্ডে বিজেপির সাফল্যের জন্যও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি। তিনি বলেন, ‘নাগাল্যান্ডের অগ্রগতির জন্য পরিশ্রম করবো। পোক্ত সংগঠন ও উন্নয়ন দিয়ে শূন্য থেকে শিখরে পৌঁছেছি আমরা।'

বর্তমানে ভারতের ১৯টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এবার উত্তর-পূর্বেও ডালাপালা ছড়ালো তারা। টুইটারে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘ভারতের মানুষ একের পর এক নির্বাচনে এনডিএ সরকারের ওপর ভরসা রাখছেন। ইতিবাচক কাজ ও উন্নয়ন চাইছেন তারা। নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে মানুষ সম্মান করে না।’

এদিকে ত্রিপুরার বিদায়ী বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গ অথবা দক্ষিণের কেরালা রাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান কৌশলপ্রণেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, মানিক সরকারের সামনে মাত্র তিনটি পথ খোলা আছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে যেতে পারেন। সেখানে   এখনও সিপিআই-এম দলের কিছু উপস্থিতি রয়েছে। অথবা কেরালায় চলে যেতে পারেন। সেখানে দলটি এখন ক্ষমতায় আছে। আরও তিন বছর থাকবে। নয়তো তিনি প্রতিবেশী বাংলাদেশে চলে যেতে পারেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং সীমান্ত অপরাধ বৃদ্ধির জন্যও বামফ্রন্টকে দায়ী করেন এই বিজেপি নেতা।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরার বিধানসভায় মোট আসন ৬০টি। এরমধ্যে ৫৯টিতে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে ৪৩টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি জোট। বামফ্রন্ট পেয়েছে ১৬টি আসন। একটি কেন্দ্রে বামফ্রন্ট প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। সেটিতে পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: জি নিউজ।