উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন কৌশল কাজ করছে: পেন্স

পরমাণু অস্ত্র বিষয়ে আলোচনায় বসতে উত্তর কোরিয়ার রাজি হওয়ায় প্রমাণ হয় কিম সরকারকে বিচ্ছিন্ন করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশল কাজ করছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে ‘কোনও ছাড় দেয়নি’ ও দেশটির নেতা কিম জং উনের ওপর ‘অবিরতভাবে চাপ বাড়িয়েছে’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স

এক বিবৃতিতে পেন্স বলেন, ‘পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে সুনির্দিষ্ট, স্থায়ী ও বৈধ পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ওপর সর্বোচ্চ চাপ অব্যাহত থাকবে’।

ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার এমন নাটকীয় অবস্থান বদলকে ‘বিশাল উন্নতি’ অ্যাখ্যা দিয়ে প্রশংসা করলেও নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন।

পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে ২০০৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার ওপর বিভিন্ন পর্যায়ের অবরোধ আরোপ করে আসছে জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন আরও একটি অবরোধ আরোপ করলে দেশটির তেল আমদানি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ওই অবরোধের পরও বেশ কয়েকটি দূর পাল্লার মিসাইলের সফল পরীক্ষার দাবি করে উত্তর কোরিয়া। দীর্ঘদিনের নিরবতা ভেঙে গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিকে আগ্রহ দেখালে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার পথ খোলে। এরই ধারাবাহিকতায় এই সপ্তাহের গোড়ার দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা পিয়ংইয়ংয়ে কিমের সঙ্গে এক অভূতপূর্ব বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকে পরই কিমের বার্তা পৌঁছে দিতে ওয়াশিংটনে ছুটে যান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা। সেখানে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের কাছে থেকে পাওয়া সাক্ষাতের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী মে মাসে এক অভূতপূর্ব সম্মেলনে যোগ দেবেন এই দুই নেতা।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ট্রাম্প-কিমের এই বৈঠককে ‘দৈব ঘটনার মতো’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,  যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও চেয়ানম্যান কিম পরবর্তী আন্তঃকোরীয় সম্মেলনে বৈঠক করেন তাহলে কোরীয় উপদ্বীপে আন্তরিকভাবে সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করা সম্ভব হবে।

তবে সংবাদকর্মীরা বলছেন, এর আগে আলোচনার সময়ও উত্তর কোরিয়া তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ রেখেছিল। তবে দাবি করা শর্ত পূরণ না হওয়ায় হতাশ হয়ে তারা আবারও কর্মসূচি শুরু করে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে স্বাগত জানান। তিনি সব পক্ষকে আগ্রহ দেখানোর পাশাপাশি কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি খারাপ করতে পারে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।