হোয়াইট হাউসের সম্মেলন প্রত্যাখ্যান ফিলিস্তিনের

গাজা উপত্যকার মানবিক সংকটের ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসে আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দেয়নি ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা।  গাজা উপত্যকার মানবিক সংকটের পরিসমাপ্তির লক্ষ্যে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে বলে দাবি মার্কিন কর্তৃপক্ষের। তবে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা ওই সম্মেলনে বয়কট করে জানিয়েছেন, তাদের স্বাধীনতার দাবিকে নিশ্চিহ্ন করতেই এই সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের লাইফলাইন হয়ে আছে জাতিসংঘের শরণার্থী সহায়তা

সম্প্রতি আয়োজিত হোয়াইট হাউসের সম্মেলনে যোগ দিতে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। মঙ্গলবারে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতাতেও যোগ দেননি তারা। তবে ইসরায়েল ও বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্রসহ ২০ টি দেশের প্রতিনিধিরা ওই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। তারা গাজা উপত্যকরা স্বাস্থ্য ঝুঁকি, পানি দূষণ, বিদ্যুৎ, দারিদ্র ও খাবার সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একক মধ্যস্ততা মানবে না তারা। তবে আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের অংশ হয়ে আসলে তাদের বাধা দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে বলছেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে শতাব্দীর সেরা চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে তারা।

হোয়াইট হাউসের ওই সম্মেলনে গাজাবাসীদের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা উন্মোচন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সম্মেলনে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত জ্যাশন গ্রীনব্লাট বক্তব্য রাখেন। তারা দুজনেই ফিলিস্তিনি ইস্যুতে ইসরায়েলের দক্ষিণপন্থি নীতির অন্যতম সমর্থক।