ডিআর কঙ্গোতে দুই গোষ্ঠীর সহিংসতায় নিহত ৩০

আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিগত সহিংসতায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গত কয়েকদিনের সহিংসতায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে এক সরকারি কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

98c777f5fafb4e62be9c843cddd85fd9_18

সরকারি হিসেবে নিহত ৩০ জন হলেও এই সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় নেতা জিন বসকো লালু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইতুরি প্রদেশে হেমা ও লেন্দু এলাকার কৃষকদের মধ্যে সহিংসতায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

তবে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, তারা ৩০ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই আরও অনেক মরদেহ জঙ্গলে রয়েছে।

জুগুর উপ-প্রশাসক উইলি মেসে বলেন, রবিবার সহিংসতায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় শত শত বাড়ি। গত ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এই সহিংসতায় অন্তত ১৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

আল-জাজিরা জানায়, এই সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। শুধু উগান্ডাতেই পাড়ি জমিয়েছেন ২৭ হাজার জন। শুধু ফেব্রুয়ারিতে উগান্ডায় কয়েক হাজার কঙ্গোর নাগরিক পাড়ি জমিয়েছেন। তারা জানান, বন্দুকধারীরা অনেক বেসামরিককে হত্যা করেছে। পুড়িয়ে দিয়েছে ঘরবাড়ি।

হেমা ও লেন্দুর এই সহিংসতার ইতিহাস পুরোনো। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আবারও এই সহিংসতা শুরু হয়েছে। গত বছর কঙ্গোতে সহিংসতা কারণে ১৭ লাখ মানুষকে ঘর ছাড়তে হয়।