প্রাণঘাতী ড্রোন রফতানি আরও সহজ করছে যুক্তরাষ্ট্র

‘আমেরিকান পণ্য কেন’ (বাই আমেরিকান) নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বাধা দূর করতে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। উৎপাদনকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর জোরালো দাবির মুখে এই নীতির আওতায় আসছে তাদের ড্রোন। চীন আর ইসরায়েলের কাছ থেকে জোরালো প্রতিদ্বন্দিতার মুখে পড়া মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবর্তিত নীতির আওতায় চলতি মাস থেকেই মার্কিন মিত্রদের কাছে সহজে ড্রোন সরবরাহ করতে পারবে। তবে মানবাধিকার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রক উপদেষ্টারা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো অস্থিতিশীল এলাকাগুলোর নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এসব খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

noname

ক্ষমতায় আসার পর চাকরির বাজার সম্প্রসারণ ও বাণিজ্য বাধা দূর করার উদ্যোগ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ডাক দিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প এই উদ্যোগের নাম দেন ‘আমেরিকান পণ্য কেন’ (বাই আমেরিকান)। প্রাণঘাতী ড্রোন বিক্রির নীতিমালা সহজ করার খবর দিয়ে রয়টার্স বলছে, হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা এই উদ্যোগকে ‘বাই আমেরিকান’ নীতির অংশ বলে বর্ননা করছেন।

চলতি মাসে এই পরিকল্পনা অনুমোদিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত মনুষ্যহীন সামরিক হেলিকপ্টার রফতানি সহজ হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এই নীতির অন্যতম লক্ষ্য হবে মিসাইল বহনে সক্ষম এবং স্বল্প দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম ছোট আকারের প্রাণঘাতী ড্রোন বিক্রির বাধা দূর করা। এছাড়া সব ধরণের নজরদারি ড্রোন রফতানির বাধাও দূর করা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাত দিযে জানিয়েছে রয়টার্স।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ড্রোনের সম্ভাব্য ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে ভারত, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়া। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালির কাছে সশস্ত্র ড্রোন বিক্রি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিরা কেন আমাদের মিত্রদের কাছে এমন যন্ত্রপাতি বিক্রি করতে সক্ষম হবে যা আমাদের কাছ থেকে তারা কিনতে আরও সচ্ছন্দ হবে। আর এই নীতির মাধ্যমে তাই করা হবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সরকার নিজেদের আরোপিত দাফতরিক ও প্রশাসনিক বাধা কমিয়ে বৈশ্বিক মহাকাশ বাজারের প্রতিদ্বন্দিতা কমিয়ে ফেলতে চায়। তবে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, তবে এই সশস্ত্র ড্রোন বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের আইন সংশ্লিষ্ট ও ক্রেতাদের আন্তর্জাতিক মান মেনে চলতে হবে। তবে মানবাধিকার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রন বিষয়ক উপদেষ্টারা বলছেন, এই ড্রোন বিক্রি সহজ হলে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো অস্থিতীশীল এলাকাগুলোর নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে পারে।