সোমালিয়ার রাজধানীতে গাড়িবোমা হামলায় নিহত ১৪

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে এক গাড়িবোমা হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই ঘটনায় আরও দশজন আহত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাব। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শহরের মাকা আল মুকাররমা সড়কের ওহেলিয়ে হোটেলের পাশে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাস্তার পাশে দাড়িয়ে চা পানরত মানুষেরাই বেশি হতাহত হয়েছে।

noname

গত মাসেও জোড়া গাড়িবোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু হয় মোগাদিসু। ১৮ জন নিহত ও ২০ জনকে আহত করা ওই হামলার দায় স্বীকার করে আল শাবাব। সোমালিয়া সরকার সন্ত্রাসী সতর্কতা জারির একদিন পর এই হামলা চালানো হয়। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর মোগাদিসুতে দেশের প্রধান পুলিশ একাডেমিতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়। তার আগে অক্টোবরে দেশটির ইতিহাসে ভয়াবহতম হামলায় ৫১২জন নিহত হয়। এসব হামলার জন্য আল শাবাবকেই দায়ী করা হয়ে থাকে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আল জাজিরাকে বৃহস্পতিবারের হামলায় নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,  এই হামলায় দশ জন আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বেসামরিক নাগরিক চলাচলরত রাস্তায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মোহামেদনুর আবদুররহমান নামে একজন এএফপিকে বলেন, হতাহত বেশিরভাগ মানুষই চা পানের জন্য দাড়িয়েছিলেন। সেখানে বিধ্বসংসী হামলা চালানো হলে আশপাশের ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আবদুলাহি মোয়ালিম এএফপিকে বলেন, ‘বিস্ফোরণ খুবই ভয়াবহ ছিলো। একটি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি ওহেলিয়ে হোটেলের সামনের এক চায়ের দোকানে ঢুকে বিস্ফোরিত হয়। ঘটনাস্থলেই দশ জন নিহত হয়। আমি দেখেটি লোকজন হতাহতদের তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের অনেকেই মারা গেছে।’

জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাবের এক মুখপাত্র রয়টার্সের কাছে ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি সোমালিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তিরক্ষি মিশন রয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ ওই মিশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।