নাগরিকদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ ইরানের

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য চুরির অভিযোগে ইরানি একটি প্রতিষ্ঠান ও ১০ জন ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা জানিয়েছে ইরান। এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাকে উস্কানিমূলক, অবৈধ ও অনায্য বলে দাবি করেছে দেশটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বাহরাম কাসেমী

 যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরানি ওই প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলা চালিয়ে শত শত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য চুরি করেছে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের দুই প্রতিষ্ঠাতার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তারা এখন ফেরারি আসামি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তথ্য চুরির হামলায় তারা ইরান সরকারেরপক্ষ থেকে মদদ দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ইরানি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৪টি এবং অন্যান্য দেশের ১৭৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার হামলার সঙ্গে জড়িত।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমী বলেন, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উস্কানিমূলক কাজ। ইরানের প্রাযুক্তিক উন্নয়ন রুখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, ইরানি জনগণের বৈজ্ঞানিক প্রবৃদ্ধি ঠেকানো বা বন্ধ করে দিতে আরোপ করা এই নিষেধাজ্ঞা থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনও লাভ করতে পারবে না।

মাবনা ইন্সটিটিউট নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে থাকা ৩১ টেরাবাইট তথ্য চুরি করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ব জুড়ে ৩২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই ঘটনায় নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধেই পৃথকভাবে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে কাসেমী বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইরানি জাতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতার একটি উদাহরণ।