ট্রাম্পের ঘোষণায় সীমান্তে সেনা পাঠাচ্ছে টেক্সাস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী মেক্সিকো সীমান্তে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন অঙ্গরাজ্য টেক্সাস। ন্যাশনালে গার্ডের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে  সংস্থাটির ২৫০ সদস্যকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সীমান্ত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক মুখপাত্র। গত মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) বাল্টিক নেতাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, দেওয়াল নির্মাণের আগ পর্যন্ত সীমান্তে টহল দিতে সেনা পাঠাবেন তিনি। এই ঘোষণা অনুযায়ী টেক্সাসের পর অ্যারিজোনা রাজ্যও ১৫০ সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে জানিয়েছে বিবিসি।

noname

ট্রাম্পের আগের প্রশাসনের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১০ সালে সীমান্ত সুরক্ষা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১ বছরের জন্য সেখানে ন্যাশনাল গার্ডের ১২শ সেনা পাঠিয়েছিলেন। তারও আগের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০৬ সালে সেখানে পাঠিয়েছিলেন ৬ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা। তারা দুই বছর মোতায়েন ছিল। গত মঙ্গলবার ট্রাম্প দেওয়াল নির্মানের আগ পর্যন্ত সেখানে চার হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মেক্সিকোর পর পরের সপ্তাহে অ্যারিজোনা মেক্সিকো সীমান্তে দেড়শো সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে। নিউ মেক্সিকো ও ক্যালিফোর্নিয়াকেও একই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবিসি বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ধরো এবং ছেড়ে দাও’অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনতে চাইছেন ট্রাম্প।  এই নীতিতে অবৈধ অভিবাসীদের ধরার পর অভিবাসন বিচারকের কাছে শুনানির জন্য অপেক্ষা করার সময় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিবাসন আদালতে কয়েক লাখ অমীমাংসিত মামলা রয়েছে। তাই একটি মামলা শেষ হতে বছরের পর বছর সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে এসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের জীবন গড়ে তোলেন। ট্রাম্প চাইছেন অবৈধ অভিবাসীদের ধরে একটি স্থানে আটক রেখে তাদের শুনানীর জন্য বিচারকের কাছে পাঠানো হবে। তিনি প্রতিরক্ষা দফতরের কাছে একাজের জন্য প্রয়োজনীয় সেনা ও স্থাপনার বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন।