যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তুলে নেবে চীন: ট্রাম্প

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীন তার বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তুলে নেবে আর দুই দেশ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ব্যাপারে একটি চুক্তিতে পৌঁছাবে। রবিবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

trump22March18

বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার চীনের বিরুদ্ধে নতুন করে ১০ হাজার কোটি ডলার শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানান, তিনি বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শত শত চীনা পণ্যের ওপর ৫০০০ কোটি ডলার শুল্ক আরোপের বিদ্যমান প্রস্তাবের সঙ্গে নতুন করে নির্দেশিত শুল্ক যুক্ত হবে।

তবে রবিবারের টুইটে ট্রাম্প বলেন, বিতর্ক সত্বেও তিনি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সব সময় বন্ধু থাকবেন। তিনি বলেন, ‘চীন তার বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তুলে নেবে কারণ এটা করাই সঠিক হবে। কর পারস্পারিক হবে আর বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের বিষয়ে একটি চুক্তি করা হবে।’ টুইটের শেষে তিনি দুই দেশেরই সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করেন। 

সম্প্রতি এক ওই টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশে ইস্পাত আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান। শিগগিরই তা কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি। আমদানি শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দুই বৃহত্তর অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তৈরির পর এশিয়ার শেয়ার বাজারে পতন দেখা দেয়। এর মধ্যেই ২২ মার্চ ৫০০০ কোটি ডলার সমমূল্যের আমদানিকৃত চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপের জন্য একটি আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। জবাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ১২৮টি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করে চীন।

এসব ঘটনার পর ট্রাম্প রবিবারের টুইটে ভিন্ন ধরনের কথা বললেন। তবে এর কোনও কারণ ব্যাখ্যা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি চীনা পণ্যে তার কর কমানোর কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা সে সম্পর্কেও কোনও ইঙ্গিত দেননি তিনি।